শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রমজানের আগে বেড়েই চলছে দ্রব্যমূল্য

লতিফ রানা

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২১  

রমজানের আগে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূলের দাম। গত সপ্তাহ থেকেই দ্রব্যমূল্যের বাজার উর্ধ্ব গতি। তার উপর এ সপ্তাহে আবার নতুন করে বেড়েছে লেবু, পেয়াজ, আদা ও শসার দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া যায়। বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ে যে লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হতো সেই একই লেবুর হালি এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। শসা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আদাঁ প্রতি কেজি ১০০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২২ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, কালো বেগুন গোল টা ৬০ টাকা এবং লম্বা ৪০ টাকা কেজি। পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, চিনি ৬৬ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সয়াবিন তেল বসুন্ধরা ৫ লিটারের প্রতি ক্যান ৬৪০ টাকা, তীর ৫ লিটার ৬৪০ টাকা, খোলা তেল প্রতি লিটার ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ডাবলী প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, ছোলা বুট ৬৫ টাকা, বেশন ১০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০ টাকা, বকরীর মাংস ৬৫০ টাকা, ডিমের হালি (লাল) ২৮ টাকা, দেশির মুরগির ডিম হালি ৬০ টাকা, কক মুরগির ডিম হালি ৫০, হাসেঁর ডিম হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এক নারী ক্রেতা সামিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, সপ্তাহ পেরুলেই রমজান। আর এই রমজানকে কেন্দ্র করে রমজানের আগে থেকেই বাড়তে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম। রমজানের মধ্যে দাম বাড়লে বাজারে হৈচৈ পড়ে যাবে বলে আগে থেকেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হচ্ছে তাদের একটা কৌশল। বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজানকে সামনে রেখে এক ধরনের অতি মুনাফা লোভী পাইকারী ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পরছে খুচরা ক্রেতাদের ওপর। আমাদের বেশী দামে কিনতে হয় তাই বাধ্য হয়েই আমাদের বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। এখানে আমাদের কিছু করার না থাকলেও ক্রেতাদের কথা শুনতে হয় আমাদের।

এই বিভাগের আরো খবর