শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রূপগঞ্জ ট্রাজেডির পোড়া লাশের পরিচয় শনাক্তে অনিশ্চয়তা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২১  

# ঢাকার তিন হাসপাতালে ভাগে ভাগে রাখা হয়েছে এসব মরদেহ


# ডিএনএ পরীক্ষা শেষে কবে নাগাদ স্বজনদের কাছে যাবে মরদেহ-তা এখনো জানেন না ডাক্তাররা



রূপগঞ্জের কর্নগোপে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৯টি মরদেহ ফ্রিজে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। এর আগে কখনও এতো লম্বা সময় ধরে এতো বেশি মরদেহ ফ্রিজে রাখার দরকার হয়নি। এদিকে, প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চললেও পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া শরীরের পরিচয় শনাক্ত করা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।  সাধারণত যে কোনো অপমৃত্যুর ঘটনায় মরদেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাটাছেড়া করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ময়নাতদন্ত করা হয়।

 

গত ৮ জুলাই হাশেম গ্রুপের কারখানায় আগুনে পোড়া মরদেহে কাটাছেড়ার জন্য খুব একটা কিছু পাননি চিকিৎসকরা। আর এমন  পোড়া মানুষের শরীরের অপেক্ষায় সুমাইয়া-জাহের। পুলিশের খাতায় মৃত ৫২ জনের একজন ফিরোজা বেগমের লাশই সুমাইয়ার মা। যিনি প্রতি ক্লাসে প্রথম হওয়া সুমাইয়াকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। পুড়ে যাওয়া কোন লাশের পরিচয় কি-তা জানতেই নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ’র নমুনা নেওয়া হয়েছে।  অন্যদিকে বেশিরভাগ এমনভাবে পুড়েছে যে, শরীরের মোটা হাড় ছাড়া আর কোথাও থেকে নমুনা নেওয়ার সুযোগ কম। সেই হাড় দাফনেরই শান্তনা চান রূপগঞ্জের মানুষ।

 

নিহত-নিখোঁজদের কান্না আড়াল করে কাজের তোড়জোড় চলছে কারখানায়। কঠোর বিধি-নিষেধেও চলছে সেখানে যাতায়াত। এরই মধ্যে হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে জামিনও পেয়েছেন কারখানার মালিকরা। এ নিয়ে উচ্চ আদালতেই সমাধান দেখছেন আইনজীবীরা। ১৯ ঘন্টার আগুনে পপাড়া ৪৯টি মরদেহ রাখার মতো ফ্রিজ নেই দেশের কোনো হাসপাতালে। তাই ঢাকার তিন হাসপাতালে ভাগে ভাগে রাখা হয়েছে এসব মরদেহ। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে কবে নাগাদ স্বজনদের কাছে যাবে মরদেহ- তা এখনো জানেন না ডাক্তাররা।

এই বিভাগের আরো খবর