বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

লকডাউন মানতে কেন এত অনীহা!

 স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২১  

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১৮টি দিক নিদের্শনা দিয়ে ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা বাংলাদেশ লকডাউন ঘোষণা দেন। তবে প্রথম দিনের মতো আজ দ্বিতীয় দিনেও জনগণের মধ্যে লকডাউন মানতে অনীহা দেখা যায়। মঙ্গলবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মানুষজন সরকারে ঘোষণা দেয়া লকডাউন ভেঙ্গে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় চলতে চাচ্ছে। 

 

গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্ররান্তে রোগী সন্ধান পাওয়া যাওয়ার পর যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে সরকার করোনা মোকাবেলায় এক পর্যায় লকডাউন ঘোষণা দিলে মানুষজন তা মেনে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন করোনার প্রথম পর্যায়ে মানুষের মনে একধরণের ভীতিসহ অনভিজ্ঞতার কারণ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ এই নামটির সাথে পরিচিত হতে থাকে। তখন মানুষের ঘরবন্দী অবস্থায় থাকা, মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক দুর্ভিসহ জীবনে মানুষের মধ্যে এক অসহায় অভিজ্ঞতার জন্ম নেয়। তাই করোনার দ্বিতীয় প্রভাবে সোমবার থেকে দেয়া লকডাউন ঘোষণায় মানুষের মাঝে এক ধরণের অনিহা প্রকাশ পায়। বিশেষ করে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত আয়ের লোকদের এই অনীহার বিষয়টি বহি: প্রকাশ ঘটে বেশী। এরই মধ্যে দোকান ব্যবাসায়ীরা লকডাউনে তাদের অসুবিধার কথা উল্লেখ করে মানববন্ধন করে। রিক্সা, অটো, স্কুটার, সিএনজিসহ সব ধরণের ছোট পরিবহন গুলোর ব্যাপক উপস্থিতি কোন কোন ক্ষেত্রে সুযোগে আগের চেয়ে বেশী যাত্রী নিয়ে চলাচলে বেশী উপার্জনের চিন্তাসহ রাস্তাঘাট, কাচাঁবাজার থেকে শুরু করে সকল স্তরে লোকের অগাধ চলাফেরার মাধ্যমে তাদের অনীহা প্রকাশ পাচ্ছে। 

 

লকডাউনে অনিহার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দোকান ব্যবসায়ী সুমন খান জানান, আমরা সীমিত আয়ের লোক। এই ব্যবসার উপর আমার এবং আমার তিনজন কর্মচারীর পরিবার চলে। এখন দোকান পাট বন্ধ করে দিলে আমাদের পরিবার কি করে চলবে। লকডাউনে দোকান পাট লক করলে কি হবে খাবার তো আর লক করা যাবে না। গত বছর আমরা লকডাউন খবু কষ্টের মধ্যে ছিলাম। আমরা কোন সাহায্য সহযোগিতা পাই নাই। ভ্যানে করে কাঁচা তরকারী বিক্রেতা শামীম জানান, সাহায্য আমাদের জন্য না, পরিচিত মুখের জন্য। সেইসব পরিচিত মুখদের সাথে আমাদের পরিচয় নাই, ভাল সম্পর্ক নাই, তাই আমরা কিছুই পাই না। যাদের সম্পর্ক আছে তাদের ঘরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশী খাবার বা সাহায্যই পৌছায়। পরিবারের সদস্যদের পেটের জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হবেই।

এই বিভাগের আরো খবর