বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

লকডাউনে মুসল্লীদের জন্য ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২১  

করোনা বিস্তার রোধে সরকার ঘেষিত ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সময়ের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাখাওয়াত হোসেনের সই করা নির্দেশনায় মসজিদে নামাজ আদায়ের নিয়মকানুনসহ মুসল্লিদের জন্য এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।

 
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদগুলোতে জামাতের নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে শর্তগুলো পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।


১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোনও অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।

৯. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

১০. অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

 

এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।