
এবার সুযোগ থাকার পরেও স্বতন্ত্র পার্থী হিসাবে নির্বাচন করা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শ্রমিক লীগ নেতা কাউসর আহম্মেদ পলাশ। ইচ্ছে করলে তিনি এবার স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করতে পারতেন যা কিনা অনেক আসনেই আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন। তিনি সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের অনুরোধে এবারের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে গতকাল তিনি দৈনিক যুগের চিন্তার সাথে আলাপকালে শামীম ওসমানের কাছে তিনটি দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, শামীম ভাই আবারও এমপি হচ্ছেন এটা নিশ্চিত। আমরা তাকে জয়ী করানোর জন্য মাঠে রয়েছি এবং তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এবার নির্বাচিত হলে তার কাছে আমার তিনটি দাবি থাকবে।
১) একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি তার দরজা জনগনের জন্য খোলা রাখবেন। তিনি নিয়মিত জনগনকে সাক্ষাৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তিনি প্রতি সপ্তাকে কোন কোন দিন কোথায় কখন বসবেন সেটা নিশ্চিত করে জনগনকে জানাবেন এবং সর্বস্থরের জনগন যাতে তাদের সমস্যা নিয়ে সরাসরি এসে এমপি শামীম ওসমানের সাথে কথা বলতে পারেন সেই ব্যবস্থা তাকে করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে তার নির্বাচনী এলাকার জনগন সহজে তার সাক্ষাৎ পান না। এই সংকট তাকে দূর করতে হবে এবং জনগনকে অভয় দিতে হবে তারা যেনো নির্ভয়ে এসে এমপির সাথে কথা বলতে পারেন।
২) এমপি তার নির্বাচনী এলাকার ফতুল্লা থানার পাঁচটি ইউনিয়ন পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় চড়ে পরিদর্শন করবেন। তিনি প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লা অলিগলি এবং গ্রামে গ্রামে যাবেন। নিজের চোখে দেখবেন রাস্তাঘাট এবং ড্রেন সহ কোথায় কি সমস্যা আছে। এতে তার যদি টানা দুই মাস সময়ও লাগে তাতেও তাকে এই কাজটি করতে হবে। সঙ্গে নোট নেয়ার জন্য একজনকে রাখবেন এবং এলাকার জনগনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলির সমাধান করবেন। এটা তাকে করতেই হবে। অন্যথায় সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। তিনি এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার বা কর্মীদের চোখে জনগনের সমস্যা দেখলে চলবে না। তাকে নিজের চোখে দেখতে হবে। নিজের চোখে এলাকাগুলির সমস্যা দেখে আন্তরিকভাবে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। তিনি যদি এতো দিনের মতো অন্যের চোখে সমস্যাগুলি দেখার চেষ্টা করেন তাহলে কোনো কাজ হবে না। তার নিজেকে মাঠে নামতে হবে।
৩) বছরের পর বছর ধরে ফতুল্লা অঞ্চলে যে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা হচ্ছে এবং এতে মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এই সমস্যাটির সমাধান আগামী বর্ষার আগেই করতে হবে। ডিএনডির যে মূল প্রজেক্ট আছে এই প্রজেক্টের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। এমপিকে জরুরী ভিত্তিতে কুতুবপুর এবং ফতুল্লা ইউনিয়ন সহ যেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে এগুলো দূর করতে হবে। আমরা আশা করবো আগামী বর্ষার আগেই তিনি জলাবদ্ধতার কারনগুলো গভীর পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে সমস্য চিহ্নিত করে সমাধান করবেন। অবিলম্বে পরিকল্পিত কিছু ড্রেন নির্মান করতে হবে এমপিকে। প্রত্যেকটি মহল্লার পানি যাতে সহজে মুল খালে গিয়ে পরতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় জনগণের কাছে জবাবদিহি না করলেও নিজের বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন এবং মহান আল্লাহপাকের বিচারতো রয়েছেই।
সর্বশেষ আমি মনে করি একজন গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধি হিসাবে এসব কাজ শামীম ভাইয়ের করা উচিৎ আর এসব কোনো কঠিন কাজ নয়। সর্বশেষ আমি সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মঙ্গল কামনা করছি এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।