মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

শামীম ওসমানের মিথ্যা দিয়ে শুরু, মিথ্যা দিয়ে শেষ : এড. মাসুম

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

শামীম ওসমানের মিথ্যা দিয়ে শুরু, আর মিথ্যা দিয়ে শেষ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম। তিনি বলেন, রাজাকারপুত্র একজন এমপির মুখপাত্র হিসেবে খেতে পারেন , যার নামের হিসেবে সঞ্চয়পত্র ব্যবসায়ীরা দিতে পারে। রাজাকার পুত্র হয়ে যদি সে নারায়ণগঞ্জ দাপিয়ে বেড়াতে পারে,

 

সে নারায়ণগঞ্জকে লুটপাট করে খেতে পারে, রাইফেল ক্লাব খেতে পারে, সারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের খেতে পারে। এসব বলায় আমরা রাজাকার পুত্র হই। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের সিনেমুন রেস্টুরেন্টে নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এড. মাসুম বলেন, আমি কারোর বাবাকে অসম্মান করতে চাই না। আমার মোবাইলে একটা ছবি রয়েছে, যেখানে ১৯৮৪/৮৫ সালে তোলারাম কলেজের নির্বাচন, সেই নির্বাচনের পোস্টার-বিএনপি  জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের  মোহসিন-আসাদ পরিষদ। সেই পরিষদে এজিএস পদে খালেদ হায়দার খান কাজল নির্বাচন করেছিলেন। এটি সেই পোষ্টার।

 

তিনি ওসমান পরিবারের আজ্ঞাবহ হতেই পারেন। কিন্তু এখন তারাই আনোয়ার হোসেনের সাথে ৫০ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ করা ছেলেকে রাজাকারের প্রতিনিধি হিসেবে দেখান। কি অদ্ভুত বিষয়।

 

আর  যে রাজাকার পুত্র অথচ তাদের লোক তার বাবা এখন মুক্তিযোদ্ধার সহায়ক হয়ে গেল । আরেকজন দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কাজ করলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার। যিনি ১/১১ দাবি করেছিল। এরপর উনি বিদেশ গিয়েছিলেন তারপরতো সে নারায়ণগঞ্জে ঘাপটি মেরে ওসমান পরিবারের সাথেপা চেটে চেটে চলেন। শান্তি কমিটির প্রতিষ্ঠিত নেতাকে মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক শক্তি বানানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেন।

 

এমনটি কি বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের আছে যে শান্তিকমিটির সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধের সহায়শক্তি বানাতে হবে ।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গঠনতন্ত্রে কি আছে তাকে জোরপূর্বক মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক শক্তি বানাতে হবে ।যেহেতু ওসমান পরিবারের পা চাটে , সেহেতু তাকে এখন ভালো করতে হবে।সুতরাং রাইফেল ক্লাব থেকে নাকি মুক্তিযোদ্ধারা তার কাছে যাবে অস্ত্র লুটে সহায়তা করেছিল ।

 

আমরা এ কথা কখনোই শুনিনি । আমরা শুনেছি মালখানা থেকে বাচ্চু সাহেব অস্ত্র লুট করেছে । এখন আমাদের এক মিথ্যবাদী আছে , যার মিথ্যা দিয়ে শুরু, যার মিথ্যা দিয়ে শেষ ,তার নাম শামীম ওসমান । উনি হঠ্যাৎ করে খবির ভাইকে সাক্ষী রেখে বলে ফেললেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি মালখানার চাবি নিয়েছিলেননা।

 

মানে একটা নাটক বানিয়ে মঞ্চায়ন করে দিল, বলে দিল তিনি রাজাকার ছিলেননা। আমি বলিনা রাজকার ছিল, উনার কর্মকাণ্ডের কারণে উনি ইতিহাসের কাছে দায়ী থাকবেন। তিনি বলেন, আইও মানে মামলার তদন্তকারী অফিসার। আমরা ইনভেস্টিগেশনের দলে। তারা তো রাজা-বাদশা। সেই রাজা-বাদশারা তো নারায়ণগঞ্জকে লুটপাট করে শেষ করে দিচ্ছে।

 

যিনি উন্নয়নের কাজ করতে চান, ত্বকী-চঞ্চল হত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চান, মানুষের পক্ষে কথা বলেন আমরা তার দলে। তবে সাংবাদিকতার নীতিমালাটা মেনে চলতে হবে। নিজের পরিশ্রমের টাকায় সাংবাদিকরা চলছেন কিনা তা চিন্তা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দয়া করে চাষাঢ়া তোলারাম কলেজের মোড়ে ডাকবাংলোটা সরানোর ব্যবস্থা করেন।

 

আবদুল হাইয়ের কাছে বারবার গিয়েছি তিনি শোনেনি। পুলিশ তাদের ব্যবস্থা নিতে রাজি আছে। আমাদের একজন আইনজীবী বোন আমেরিকা থেকে দেশে আসার পর তার একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছে। আমাদের পরিকল্পনার অভাবে আর যেন কাউকে লাশ হতে না হয়। এরশাদ সরকারের সময় এই পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে হাজিগঞ্জে  নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

 

কিন্তু এরশাদের শাসনামল শেষ হওয়ার পর চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ি আজো সরেনি। ঝুঁকিপূর্ণ জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর অংশটুকু সরিয়ে দিন। আরেকটি দাবি জানাই, আওয়ামী লীগ অফিসে নিহত শহিদ মুনিরুল ইসলামের নামে ২নং রেলগেটে শহীদ মিনারের আদলে স্মৃতিস্তম্ভ ছিল সেটি রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে হারিয়ে গেছে, তাই ২নং রেলগেটের নাম বদলে শহীদ মুনির গেট করার দাবি জানাই।


জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাফিজ আশরাফের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কবি হালিম আজাদ, সাবেক সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম,

 

বর্তমান সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আরিফ আলম দিপু, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও  দৈনিক সোজাসাপটার সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ,

 

সাংবাদিক ইউসুফ আলী এটম, বিল্লাল হোসেন রবিন, হাসান আরিফ, প্রণব রায়, বুলবুল আহমেদ সোহেল, দৈনিক সংবাদচর্চার সম্পাদক মুন্না খান, আরটিভির আনোয়ার হাসান, প্রেস নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামলসহ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ।

এই বিভাগের আরো খবর