শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শামীম ওসমানের সময় লাগে তাই হকারমুক্ত করেছি: এসপি হারুন (ভিডিও)

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন,  এমপি শামীম ওসমান মহোদয় বলেছেন, যানজটের কারণে উনার যেতে অনেক সময় লাগে। সেই কারণে আমরা মেইন রোড যানজট মুক্ত ও হকার মুক্ত ফুটপাত করেছি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও হকার মার্কেটে এসে দেখলাম হকার মার্কেটে হকারদের জন্য ৬৫০ টি দোকান মাননীয় মেয়র বরাদ্দ দিলেও কোন প্রকৃত হকার এই ৬৫০ টি দোকানে বসে না। যদি ৬৫০ জন হকার নিয়ম মোতাবেক ওই  দোকানে বসত তাহলে ৬৫০ জন হকার ব্যবসা করে চলতে পারত। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো ওই হকাররা অন্যের কাছে দোকান বিক্রি করে বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে  বসে। 

 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ হকার্স মার্কেটের সামনে ‘ছেলেধরা গুজব’ প্রতিরোধে এক পথসভায় তিনি এ সকল কথা বলেন।

 

এসপি হারুন বলেন, সাইনবোর্ড হতে চাষাঢ়া হয়ে ১ নং রেলগেইট ও ২ নং রেল গেইট এবং সিটি করপোরেশন পর্যন্ত প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক চলাফেরা করে। ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু সড়কে ফুটপাত দখল করে, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করে রাখলে নারায়ণগঞ্জবাসী স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবে না। 

 

পুলিশ সুপার হকারদের উদ্দেশ্যে বলেন, হকার্স মাকেটের এই দোকান অন্য জায়গায় বিক্রি না করে অন্যান্য হকারদের নিকট হস্তান্তর করতেন তাহলে আপনাদের অপর ভাইরা ব্যবসা করতে পারত। আমি মেয়র মহোদয়ের নিকট অনুরোধ করব প্রকৃত হকার যারা তারাই হকার মার্কেটে বসবে। আরো যদি বাকি হকার থাকে তাদের জন্য আর একটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করে হকারদের বসার ব্যবস্থা করে দিবেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধ করব আপনারা মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলেন, আমরাও কথা বলব। হকারদের জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হোক। আমি সাধারণ ব্যবসায়ীদের বলতে চাই যে, হকার মার্কেটটি প্রকৃত হকারদের জন্যই। এখানো অন্য কেউ বসতে পারবে না। 

 

এসপি হারুন বলেন, মাননীয় এমপি সেলিম ওসমান, মাননীয় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং মাননীয় এমপি শামীম ওসমানও আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন, হকার মুক্ত ফুটপাত নারায়ণগঞ্জবাসীকে উপহার দেওয়ার জন্য। 

 

ছেলেধরা গুজব প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা মনে করি এই বিষয়ে (ছেলেধরা গুজব) অনেকেই সচেতন হয়েছে। আমরা প্রতিটি এলাকায় এলাকায় মাইকিং করেছি যে, ছেলে ধরাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। জনগণই এখন একে অপরকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। এবং আমাদের (পুলিশের) মাইকিং করার ফলে জনগণ অনেকটাই এ বিষয়ে আস্বস্ত হয়েছেন।

 

সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশে পুলিশ সুপার বলেন, ছেলেধরা বিষয়ে কেউ যদি গুজব রটায় সেই গুজবে আপনারা কেউ কান দিবেন’না। এ ধরণের ঘটনা যদি কেউ ঘটাতে চায়, তাহলে আপনারা পার্শ্ববর্তী থানার পুলিশকে খবর দিবেন। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে, আমাদের পুলিশের একটি এমারজেন্সি টিম (বিশেষ আইন শৃঙ্খলার কাজে ব্যবহৃত) আছে যখনই আপনারা কন্ট্রোলরোমে জানাবেন, তাৎক্ষণিকই আমরা তাকে উদ্ধার করবো। এছাড়া নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে; কাউকে হত্যা করা একটি অপরাধ। এই হত্যা করার কারণেই কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলাও হয়েছে! সেখানে অনেক জনই আসামী হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি এরপর এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

পথসভায় জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহউদ্দিন আহমেদ, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) মো. সাজ্জাদ রোমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর