শামীম-সেলিমের প্রতিদ্বন্দ্বীদের এলাকায় পরিচিতি কম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৫ পিএম

# ৭ জানুয়ারী নির্বাচন হলে তারা নিশ্চিৎ বিজয়ী হবেন বলেই মনে করেন দুই আসনের সাধারন মানুষ
নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনে তারা দুই ভাই দুই দল থেকে নির্বাচন করছেন। শামীম ওসমানের প্রতিক নৌকা আর সেলিম ওসমানের প্রতিক লাঙ্গল। নারায়ণগঞ্জের বাকী তিনটি আসনে নির্বাচনের কিছুটা আমেজ থাকলেও এই দুটি আসেন কোনো আমেজ নেই। কারণ শামীম ওসমান আর সেলিম ওসমান এই দুইজনের কারো সাথেই গুরুত্বপূর্ণ বা শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। যারা আছেন তাদের নামও কেউ জানে না।
তাই নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি আসনের ভোটাররা মনে করছেন এখানে আগামী ৭ জানুয়ারী যে ভোট হচ্ছে তাতে খুব একটা ভোটারের দরকার পরবে না। খুব সহজেই বিজয়ী হবেন নারায়ণগঞ্জের দোর্দন্ড প্রতাপশালী এই দুই এমপি। দুই আসনের ভোটারদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লা থানা এলাকার উত্তর মাসদাইরের ভোটার মতিউর রহমান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। ৭ জানুয়ারী আমরা আমাদের দলের প্রার্থী শামীম ওসমানকেই ভোট দেবো। তবে আমি মনে করি শামীম ওসমান সাহেব এরই মাঝে এমপি হয়ে গেছেন। কারণ তার তো কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। এখানে শামীম ওসমানের প্রতিদ্বন্দ্বী কারা আছেন সেটাও জানি না। কারো নামও শুনি নাই।
তবে এটা শুনেছি জাতীয় পার্টির আর তৃনমূলের নাকি প্রার্থী আছে। কিন্তু তারা কারা আমরা চিনি না। এসব প্রার্থী কোনো ভোট পাবে না। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতো তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতো। এখন আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। শামীম ভাই আমাদের এমপি ছিলেন তিনিই থাকবেন। একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বক্তবলীর আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতো তাহলে আমি বিএনপিকে ভোট দিতাম। কিন্তু এখন আর ভোট কেন্দ্রেই যাবো না। নির্বাচন হবে একতরফা। আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে যায় তাহলে অন্তত এক লাখ ভোট পেয়ে শামীম ওসমানই নির্বাচিত হবেন। তাই আমরা মনে করি যদি ৭ জানুয়ারী নির্বাচন হয় তাহলে শামীম ওসমানই এমপি হবেন।অপরদিকে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ভোটাররা।
এ বিষয়ে শহরের আমলা পাড়ার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন বলেন, সেলিম ওসমানই এমপি থাকবেন। এখানে তো আওয়ামীলীগ তার বিপক্ষে কোনো প্রার্থী দেন নাই আর বিএনপি তো নির্বাচনেই আসছে না। তাই এবারও তিনিই এমপি হচ্ছেন। তবে এখানে যদি বিএনপির অথবা নৌকার কোনো প্রার্থী থাকতো তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো, প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতো। এখন সেলিম ওসমান সাহেব ঘুমিয়ে থাকলেও তিনি জযী হবেন।
তাই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে না। সেলিম ওসমানকেই বিজয়ী ধরে নেয়া যায়। অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন তিনি জানেন না সেলিম ওসমানের বিপক্ষে কেউ নির্বাচন করছেন কিনা। কেউ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে থাকলে তিনি তাদের নামও শোনেনি। তিনি চিনেন শুধু সেলিম ওসমানকে। তাই তিনি মনে করেন এবারও সেলিম ওসমানই এমপি হচ্ছেন।
মূলত এভাবেই এখন নারায়ণগঞ্জের এই দুটি আসনের মানুষ মনে করেন আবারও শামীম ওসমান আর সেলিম ওসমানই এমপি হচ্ছেন বলে মনে করেন সর্বস্থরের সাধারণ মানুষ। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীকে তারা চিনেন না। এস.এ/জেসি