শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শামীমের এলাকার ময়লাও সরাবেন আইভী?

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২১  

জালকুড়ি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী যে অত্যাধুনিক বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা প্লান্ট নির্মান করছেন এই প্লান্টে শামীম ওসমানের এলাকার বর্জ্যও লাগবে বলে জানা গেছে। সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে প্লান্টটি চালু হলে প্রতি দিন বর্জ্য লাগবে সাতশ মেট্রিক টন। কিন্তু সমগ্র নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য উৎপন্ন হয় প্রতি দিন ছয়শ মেট্রিক টন।

 

ফলে ঘাটতি থাকবে একশ মেট্রিক টন বর্জ্য। তাহলে এই বর্জ্য কোথা থেকে সংগ্রহ করবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন? তাদেরকে এই একশ টন বর্জ্য হয় পার্শ্ববর্তী ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে অথবা ফতুল্লা থানা এলাকা সংগ্রহ করতে হবে। আর সেই ক্ষেত্রে জালকুড়ি প্ল্যান্টটি যেহেতু ফতুল্লা থানা এলাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা তাই ফতুল্লা থেকেই এই একশ টন বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে। এতে যা ঘটবে তা হলো সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ফতুল্লার বর্জ্যও অপসারন করবেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী।

 

উল্লেখ্য, ফতুল্লা থানা এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ গুলিতে কোনো বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা না থাকায় কিছু এলাকায় বিভিন্ন এনজিও এসে মানুষের ঘর গৃহস্তালির ময়লা নিয়ে যায়। এর জন্য তাদেরকে প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা দিতে হয়। কিন্তু ফতুল্লায় যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হয় পূরোটা নিতে পারেনা এনজিওগুলি। তাই রাস্তাঘাটে এবং ড্রেনে ময়লার পোটলা ফেলে রাখে বিভিন্ন বাড়ির কাজের বুয়ারা। এতে গোটা ফতুল্লা এলাকা একটি নোংরা এলাকা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

 

ফতুল্লা একটি জনবহুল শহর এলাকা হওয়া সত্বেও এলাকাটি পৌরসভা অথবা সিটি করপোরেশন না হওয়ায় কোনো ময়লা বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। যার ফলে দিনে দিনে এলাকাটি সব দিক থেকেই পিছিয়ে পড়েছে। তাই এবার যদি জালকুড়ি বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা প্লান্টে ফতুল্লার ময়লা নেয়া হয় তাহলে হয়তো পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। অন্তত প্রতিদিন একশ টন ময়লা যদি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নেয় তাহলে কিছুটা হলেও পরিচ্ছন্ন হবে ফতুল্লা। তাই জালকুড়ি প্ল্যান্টটি চালু হলে এর সুফল ভোগ করতে পারেন ফতুল্লার জনগণও। 

এই বিভাগের আরো খবর