বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিক্ষা এবং কর্পোরেট বাস্তবতা

করীম রেজা

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২  

 

সারাদেশের স্কুল কলেজ শুক্র ও শনিবার দুই দিন বন্ধ থাকবে। সরকারি বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বন্ধ কার্যকর করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।  একইসঙ্গে সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সকল প্রতিষ্ঠানের কর্ম ঘন্টা কমিয়ে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩ টে পর্যন্ত করা হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান একই কারণে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। চলমান জ্বালানি সংকট, লোডশেডিং, সড়কপথে যানজট কমিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করে সংবাদ সম্মেলনে সরকারি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

 

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারা বৎসর সপ্তাহে দুইদিন বন্ধ থাকে সাধারণত । বাংলাদেশে ব্যতিক্রম, সপ্তাহে একদিন বা দেড়দিন ছুটি থাকে। বৃহস্পতিবারে অর্ধ বেলা আর শুক্রবারে পূর্ণ বন্ধ। একসময় তা ছিল শনিবারে অর্ধ এবং রবিবার ছুটি। বিদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভাল দিকগুলো আমরা সব সময় প্রায় এড়িয়ে যাই।যদিও বিদেশের উদাহরণ দিয়ে নিজের কথার শক্তিমত্তা বোঝাবার চেষ্টা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়েছে বলা যায়।শিক্ষানীতি নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। নীতি বদলের সঙ্গে শিক্ষা খুব এগিয়েছে তা কেউই স্বীকার করে না।

 

কানাঘুষা ছিল, তাছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নিজেও বলেছেন আগামি শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুল কলেজে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন করা হবে। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে সেই সিদ্ধান্ত এগিয়ে এনে এ মাসের ২৫ তারিখ থেকেই চালুর ঘোষণা দিয়েছে। দুই দিন ছুটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া যাচ্ছে। কারো মতে করোনার অভিঘাতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ নষ্ট হল। কেননা ছুটি না থাকলে এই দুইদিন অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ক্ষতিপূরণ সম্ভব ছিল। আরেক পক্ষ ভাবছে,দুইদিন ছুটিতে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। তাছাড়া এই দুইদিন যেন কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়, সেই দাবীও উচ্চারিত হচ্ছে।

 

দুই দিনের ছুটিতে পড়াশোনা ক্ষতি হবে না বলে শিক্ষামন্ত্রী তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। কারণ সপ্তাহে পাঁচদিনের মধ্যে যাতে শিক্ষাক্রম শেষ করা যায়, সেইরূপেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাছাড়া তিনি শিক্ষকদের কর্মঘন্টার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছেন। অন্যান্য সরকারি কর্মচারির তুলনায় শিক্ষক সমাজ বছরে ৫১ দিন বেশি কাজ করেন। ছাত্রদের মত তাদের উপরও যথেষ্ট কাজের চাপ থাকে। দুইদিনের ছুটিতে তাদের কাজের উদ্যম বাড়বে বলেই তিনি মত দেন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ১ লক্ষ ১৮ হাজারেরও বেশি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসাৈ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি (সূত্র-প্রআ) ।


দেখা যায়,দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোমলমতি শিশু কিশোরদের পড়াশোনার নামে যে পরিমাণ শারীরিক মানসিক চাপ দেয়া হয়, তা পৃথিবীর অন্য দেশে কোনও প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় না। এই চাপ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নানা উপায়ে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে আবার অভিভাবক তথা বাবা-মা আত্মীয় পরিজনের দিক থেকেও। উত্তম রেজাল্ট করতে হবে, জিপিএ ফাইভ পেতে হবে, ক্লাসের মধ্যে প্রথম হতে হবে, পাঠ্যক্রমের বাইরে সহপাঠ কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে, খেলাধুলা করতে হবে প্রভৃতি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা আবার শুধু স্কুলের পরীক্ষা নয়, প্রাইভেট শিক্ষকের পরীক্ষা আছে, কোচিং সেন্টার এর পরীক্ষা আছে।

 

সবকিছু মিলিয়ে ছেলেমেয়েদের কাঁধে যেমন একগাদা বই খাতার বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়, তেমনি তাদের মনের উপরেও পরীক্ষা এবং ভালো ফলাফলের বিশেষ চাপ তৈরি করে দেয়া হয়। বই খাতার বোঝা কাঁধে নিয়ে একটা ছাত্র-ছাত্রী যেমন মেরুদন্ড সোজা রেখে চলতে পারে না । তেমনি ভালো রেজাল্টের মানসিক চাপে ছেলেমেয়েদের মনের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা শিক্ষক কিংবা অভিভাবক বিষয়গুলো জেনে বুঝেও তেমন গুরুত্ব দেইনা । সবসময় ছেলেমেয়েদেরকে তুলনা দিয়ে বোঝাতে থাকি অমুক তোমার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে, অমুক তোমার চেয়ে বেশি সময় পড়াশোনা করে, অমুক অমুক তিনজন শিক্ষকের কাছে বা চারজন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে, কয়েকটি কোচিং সেন্টারে কোচিং করে, তুমি কেন তা করো না বা পারো না অথবা কেন পারবে না। এইভাবে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত করা হয় একটা মনোটোনাস একঘেয়ে গন্ডির মধ্যে বদ্ধ করে।  শিশু শ্রেণী থেকেই সিলেবাস নামের একখানা কাগজ অভিভাবকের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় । স্কুলের শিক্ষকদের ওই সিলেবাস অনুসরণ করে নির্দিষ্ট শিক্ষণ ঘন্টার মধ্যে সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা শেষ করতে হয়। তারপর আছে পরীক্ষা নেওয়া। আমরা যারা গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করেছি । সেখানে সিলেবাস বলে কোন কিছুর সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটেনি। কেবল নবম শ্রেণীতে গিয়ে আমরা এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের সঙ্গে পরিচিত হই।পুরো পাঠ্য পুস্তকই আমাদের পড়তে হত। তিনভাগে, প্রায় অর্ধেক অংশ ছয়মাস পরের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার জন্য, বাকি অর্ধেকের একভাগ নয়মাস বা ২য় সাময়িক পরীক্ষার জন্য এবং শেষাংশসহ পুরো বইয়ের পাঠ্যাংশ থাকত বার্ষিক পরীক্ষার জন্য। এখনকার ন্যায় পুরো বই না পড়ে সিলেবাসের নির্দিষ্ট অংশ পড়ে পড়ে উত্তম রেজাল্ট করার চল ছিল না। বরং সমগ্র পাঠ্যবস্তু সম্পর্কেই শিক্ষা নিতে হত।

 

সিলেবাস শব্দটি এখন গ্রামের স্কুলেও শহরের মতোই অতি পরিচিত। সিলেবাস জিনিসটি মূলত একটি পাঠ্যবই পড়ানো শেষ করে বছর শেষে কিংবা বছরের মাঝখানে যে পরীক্ষা নেয়া হয় সেই পরীক্ষায় কিছু নির্বাচিত পাঠ্যাংশ নির্দেশ করে দেয়া। যেটা মাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাসে পাওয়া যেত। এখন যায় কিনা জানা নেই। তার মানে দাঁড়ায় পাঠ্য বইখানা নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষে পুরোটাই পড়তে হবে, জানতে হবে, বুঝতে হবে। তারপর সিলেবাস,যার উপর ভিত্তি করে পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন বিন্যাস করা হবে।


 
কিন্তু এখন পরীক্ষার আগে বছরের শুরুতেই ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাস নামের একটি পদ্ধতির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় সম্পূর্ণ বই নয়, বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচিত কিছু অধ্যায় পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট। এখন সারা বছরই পড়ুয়া ছেলেমেয়ে, তাদের বাবা-মাকে ওই সিলেবাস নামক ব্যবস্থার সঙ্গে সমানতালে ম্যারাথন দৌড় দৌড়াতে হয়। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার বিষয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট জ্ঞানীগণ তা পুনর্বিবেচনা করে বিজ্ঞান ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা, যেমন পাঠদান, পরীক্ষা নেয়া ইত্যাদি নিয়ম অনুসরণ করে করা হয়। অন্যদিকে প্রাইভেট পড়া এবং কোচিং সেন্টার মূলত সমান্তরাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতই মতই আচরণ করে। ভিন্ন ভিন্ন ক্লাসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্দিষ্ট, দিন নির্ধারিত থাকে। পাঠদান শেষে নেয়া হয় পরীক্ষা। অনেক সময় কোচিং সেন্টারগুলোর পরীক্ষা নেয়ার চাপ এত বেশি থাকে যে, ছাত্র-ছাত্রীরা একেক দিন একাধিক বিষয়ের উপর পরীক্ষা দিতে বাধ্য থাকে। তারপর রয়েছে কোচিং সেন্টার নির্ধারিত মান উত্তীর্ণের জন্য নির্দিষ্ট নম্বর প্রাপ্তির বিষয়, মোদ্দা কথা সমান্তরাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে সপ্তাহে যে দিনগুলোতে বন্ধ থাকে সেই দিনগুলোতে কোচিং সেন্টারগুলো খোলা থাকে। তাদের বিশেষ পরীক্ষা অথবা বিশেষ ক্লাসের নামে ছেলেমেয়েদের কোচিং সেন্টারে আসতে বাধ্য করা হয়। অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন ব্যবস্থায় ছুটি-ছাটা বলে কিছু থাকে না। এসব কারণে ছাত্রছাত্রীরা সম্পূর্ণভাবে যান্ত্রিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সমাজ কিংবা পরিবারের সঙ্গে তাদের ভাব বিনিময়ের সুযোগ থাকে না। বাস্তবে দেখা যায়, এই পড়াশুনা, স্কুল, কোচিং সেন্টার, পরীক্ষা, এসবের ফাঁকে যতটুকু সময় তারা পায়, সেইটুকু তারা মোবাইল ফোনে গেইম অথবা ফেসবুকে কাটিয়ে দেয়। সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে অপরিচয়ের কারণে তারা গণ্ডিবদ্ধ এক ধরনের পুঁথিগত প্রাণী রূপে বড় হয়।


আমরা মূলত কর্পোরেট বাস্তবতায় বসবাস করছি। তার কারণ কোচিং সেন্টার বন্ধ করার কথা আগেও বলা হয়েছে, কিন্তু কার্যকর হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থায় বিবিধ রকমের সমীক্ষা, নিরীক্ষা চালানো হয়েছে; নতুন বিধি ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। শিক্ষা পদ্ধতি, পাঠক্রম, পরীক্ষা পদ্ধতি, সবকিছুতেই নিরীক্ষা চালিয়ে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু নোটবই বা অর্থ বই বা সহায়ক পুস্তক অথবা অন্য কোনও নামে একটি কায়েমি বাণিজ্যিক ব্যবস্থা দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে। তার সঙ্গে কয়েক দশক আগে যুক্ত হয়েছে কোচিং ব্যবস্থা। দুটো ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়ার পক্ষে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল থেকে দাবি জানানো হয়েছে। কখনো কখনো এই সব ব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কিন্তু কর্পোরেট বাস্তবতার জন্য সেই সিদ্ধান্ত রদ হয়েছে, পরিবর্তিত হয়েছে। ভদ্র ভাষায় বলা যায় সিদ্ধান্ত সংশোধিত রূপে কার্যকর হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এইসব সংশোধন বা পরিবর্তন কাগজে-কলমে বাস্তবে নয়। আমাদের ছোটবেলার সেই নোট বা অর্থ বই নাম বদল করে, মলাট বদল করে, গাইড, সহায়ক প্রভৃতি নামে প্রকাশ্যেই শিক্ষা পদ্ধতির অংশ রূপে বহাল তবিয়তে টিকে আছে বছরের পর বছর।

 

এখন সপ্তাহে দুদিন স্কুল কলেজ বন্ধ রেখে ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক চাপ কমিয়ে আনা সম্ভব। এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনযাপন পদ্ধতিতে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে। তারা পরিবার সমাজ সম্পর্কে এই দুইদিন বন্ধের মধ্যে কম বেশি ধারণা পাবে। মেলামেশা করার সময় ও সুযোগ পাবে। খেলাধুলা বা এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো, নানা রকম সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নেয়া কিংবা উপভোগ করার সুযোগ পাবে। এতে করে মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু সবকিছুই বিফলে যাবে যদি সপ্তাহে দুইদিন স্কুল-কলেজ ছুটির সঙ্গে কোচিং সেন্টার বন্ধ না থাকে।

 

কোচিং সেন্টার নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণেও সব সময় চেষ্টা করে ছেলেমেয়েদের বেশি সময় কোচিং দিয়ে যাতে ভালো রেজাল্ট করানো যায়, তাতে করে ওই প্রতিষ্ঠানের কোচিং ব্যবসার প্রভূত উন্নতি ঘটে। কোচিং সেন্টারের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হওয়া উচিত। সম্ভব হলে কোচিং সেন্টার এবং সহায়ক পুস্তক বা গাইড বই ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়া উচিত। যতক্ষণ তা না হয় ততদিন যেন স্কুল-কলেজের সঙ্গে মিল রেখে কোচিং সেন্টার তাদের শিক্ষা কার্যক্রম তথা ব্যবসা পরিচালনা বন্ধ রাখে। তাছাড়া কোচিং সেন্টারে শিক্ষাদানে জড়িত থাকেন স্কুল কলেজের শিক্ষকেরাই। দুইদিন ছুটির সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকলে সেই শিক্ষকরাও বিশ্রামে কর্মশক্তি পুন সঞ্চায়নের সুযোগ পাবেন। এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং সেন্টারের মালিক, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক, সর্বোপরি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক, সবাইকে সমন্বিত ভাবে বাস্তবতা বিবেচনা করে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে, কোমলমতি ছেলেমেয়েদের মঙ্গলের কথা সর্বাগ্রে মাথায় রেখে।
 

এই বিভাগের আরো খবর