বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শিশু তাসফিয়ার লাশ দিয়েই উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২  

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের তালিকায় যে ১০ জনের নাম ছিল তাদের সকলেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ের নয়টার দিকে ট্রলার ডুবির ঘটনার ৭ম দিনে নিখোঁজ তালিকার সর্বশেষ দেড় বছরের শিশু তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

ট্রলার ডুবির ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে তাসফিয়ার মরদেহ ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধার দল বেলা ১১টায় উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সকালে এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় প্রায় ৪০জন যাত্রীসহ ট্রলারটি পানিতে ডুবে যায়।

 

এই ঘটনায় ১০ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে নিখোঁজদের স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায়। প্রথম ৪দিন উদ্ধার কর্মীরা উদ্ধার কাজে সফল না হলেও ঘটনার ৫ম দিন ৯ জানুয়ারি সকালে প্রথম ৪টি ও বিকেলে ২টি মরদেহ ভেসে উঠে। পরের দিন ১০ জানুয়ারি আরো ৩ জনের মরদেহ এবং সর্বশেষ গতকাল বাকি ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

ট্রলার ডুবির ঘটনায় ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে লঞ্চের মাস্টার, চালক ও সুকানিসহ ৩জনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করলে ঐদিনই তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লার (৩০)। তাদের দায়ীত্ব অবহেলার কারনেই এই দূঘর্টনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।
 
 

এই বিভাগের আরো খবর