শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শুক্রবার থেকে জমবে বাণিজ্যমেলা, আশা ব্যবসায়ীদের

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৩  


নতুন বছরের প্রথমদিন রোববার (১ জানুয়ারি) থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ)। তবে, প্রথমদিন থেকে সোমবার (২ জানুয়ারি) দ্বিতীয়দিন মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল কিছুটা কম। কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাননি ব্যবসায়ী ও আয়োজকরা।

 

 

তবে, তাদের আশা আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে। পুরোদমে জমে উঠবে মেলা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগতদের সংখ্যা আশানুরূপ নয়। তাদের আশা, ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার থেকে মেলা জমে উঠবে। তাদের বেচাবিক্রিও বাড়বে। জমে উঠবে মেলা।

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, দ্বিতীয় দিন মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম হলেও ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। প্রথম দিন রোববারও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাননি ব্যবসায়ী ও আয়োজকরা। তবে, প্রথম দিনের থেকে সোমবার ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। মেলার শুরুর দিকে সাধারণত ছুটির দিনেই বেশিসংখ্যক মানুষ মেলায় আসে।

 

 

প্রথমদিনে প্রধানমন্ত্রী মেলা উদ্বোধনে আসার কারণে রাস্তায় যানজটে অনেকে আসেনি। এখন চলছে পুরোদমে অফিস-আদালত। তাই শুক্রবারের আশায় প্রহর গুণছেন আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী স্টল প্রতিনিধিরা।

 

 

অন্যদিকে, এখনো মেলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্টল ও প্যাভিলিয়ন অসম্পূর্ণ। সেগুলোর অধিকাংশই এখনো পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শন শুরু করতে পারেনি। বিশেষ করে মেলার মূল প্রাঙ্গণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারের (বিবিসিএফইসি) বাইরে অধিকাংশ স্টলে এখনো চলছে প্রস্তুতির কাজ।

 

 

সেগুলোর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। সেটাও ক্রেতা-দর্শনার্থী কম হওয়ার কারণ মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। মেলার বেচাবিক্রি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফ্যাশন হাউস জয়িতার ইনচার্জ মেজবাউল হক বলেন, প্রতিবারই মেলা শুরুর প্রথমে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হয়। এবারও তাই হচ্ছে। এখনো অনেক স্টলের কাজ চলছে। বিক্রি শুরু হয়নি। সেজন্য আসছেন না ক্রেতারা।

 

 

মেলায় ভিসতা ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ বলেন, আশা করছি শুক্রবার থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়বে এবং এবছর মেলায় এক কোটি দর্শনার্থী হবে বলে ধারণা করছি।

 

 

তিনি বলেন, অন্যান্য মেলা থেকে এ বছরের মেলা ভালো হবে। কারণ গত কয়েক বছর করোনা ও অন্যান্য কারণে মানুষ ঘুরতে বের হতে পারেননি। আরও নানা সমস্যা ছিল। এখন অবস্থা ভালো। এ এলাকার রাস্তা থেকে শুরু করে মেলার স্পট চমৎকার। এবার মেলা সফল হবে বলে আশা করছি।

 

 

অন্যদিকে, কিছু স্টলে শুরু থেকে ক্রেতার অনাগোনা রয়েছে। মেলায় আরএফএল-এর প্রিমিয়ার স্টলে দেখা গেছে এমনটা। সেখানে ইনচার্জ সুমন জানান, তাদের পণ্য বিক্রি প্রথম দিন থেকে ভালো। ক্রেতাও রয়েছে বেশ। গত দুদিনে তারা অনেক ক্রেতা পেয়েছেন। আগামীতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করেন।

 

 

মেলায় অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন নিয়মিত বাণিজ্যমেলায় অংশ নিচ্ছেন। তারাও বলছেন, মেলা শুরুর প্রথম সপ্তাহে দর্শনার্থী-ক্রেতার সংখ্যা কম হয়। এবার সে রকমই হয়েছে। তাই দ্বিতীয়দিনও তেমন ক্রেতা নেই। তবে, আগামী শুক্রবার থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতার সংখ্যা বাড়বে।

 

 

এদিকে বেশিরভাগ স্টল-প্যাভিলিয়ন শুধু ভালো বেচাকেনা কিংবা লাভের উদ্দেশ্যে মেলায় অংশ নিচ্ছে না। সারাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এ মেলায় আসেন। তাদের সামনে নিজেদের পণ্য প্রদর্শনই মুখ্য। এ বছর গত বছরের থেকে বড় পরিসরে হচ্ছে মেলা। গত বছরের চেয়ে এ বছর মেলার পরিসর, আয়োজন ও সাজসজ্জায় বড় পরিবর্তন আসছে।

 

 

গত বছর মেলায় স্টল ছিল ২২৫টি। এবার দেশি–বিদেশি স্টল বসছে ৩৩১টি। এবারের মেলায় মোট স্টল/প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৪৮৩টি। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১১২টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১২৮ এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টলের সংখ্যা ২৪৩টি। এর মধ্যে বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৭টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১ এবং বিদেশি প্রিমিয়ার স্টলের সংখ্যা ১৭টি। এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর