Logo
Logo
×

নগর জুড়ে

শুষ্ক মৌসুমেও ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে জলাবদ্ধতা

Icon

সাইমুন ইসলাম

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম

শুষ্ক মৌসুমেও ডাইংয়ের বিষাক্ত পানিতে জলাবদ্ধতা
Swapno


# ইটিপি চালুর ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি কোন ডায়িং মালিক

# এগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে : উপ-পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর

# সেন্ট্রাল ড্রেনের কাজ চলছে : মনিরুল আলম সেন্টু
 

সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন  কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত লালখাঁ খানকা মসজিদ এলাকা ডাইং এর বিষাক্ত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে দীর্ঘদিন। দেখে বোঝার উপায় নেই এখন শুষ্ক মৌসুম চলছে। এই এলাকায় প্রবেশ করলেই মনে হবে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। শুধু তাই নয় পানিগুলো মারাত্মকভাবে বিষাক্ত।

 

 

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় , ডাইংয়ের কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙিন পানিতে ডুবে আছে পুরো এলাকা। পানি গুলো ও ভাপসা গরম ও দুর্গন্ধযুক্ত।  এ পানির স্পর্শে আসলে যে কেউ শিকার হচ্ছে মারাত্মক চর্ম রোগের। চর্ম রোগ ছাড়াও শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে স্থানীয়রা। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলমান থাকলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা।

 

 

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসি জানান, এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চললেও কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। এখন মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। তবে এমন বিষাক্ত পানির ফলে  শারিরিক জটিলতায় ভুগতে হয়। এলাকার এমন পরিস্থিতি দেখে যে কেউ ভাবতে পারে জেলায় নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো কার্যক্রম কিংবা নেই কোনো  জনপ্রতিনিধি। অথচ সবই আছে।

 

 

কিন্তু এসব যেনো দেখার কেউ নেই। এ জনপদের এমন অবহেলায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা। এর জন্য দায়ী ভাই ভাই ডাইং, মায়ের দোয়া ডাইংসহ আরো কয়েকটি ডাইং। ভাই ভাই ডাইং এর মালিক রুবেল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার ডাইং এর পানি যায় এজন্য সবসময় আমি ড্রেন পরিষ্কার রাখি। তবে ইটিপি না থাকায় বিষাক্ত পানির সমাধানে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন আমি শুধু একা না। আরোও অনেক ডাইং আছে তারাও সমানভাবে এগুলোর জন্য দায়ী। 

 

 

এ ব্যাপারে ‘মায়ের দোয়া ডাইং’ এর ম্যানেজার মোস্তফা জানান, এখানের জলাবদ্ধতার জন্য ড্রেন গুলো দায়ী। জনপ্রতিনিধিরা ড্রেন এর কাজ না করায় এখানে পানি জমে। তবে তার ডাইংয়ে ইটিপি নেই বিষয়টা স্বীকার করেন তিনি। 

 

 

এ ব্যাপারে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু জানান, বর্তমানে ফতুল্লা ষ্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে সেন্ট্রাল ড্রেনের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলেই সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়ে যাবে। 

 

 

এই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কোনো ডাইং ইটিপি ছাড়া পরিচালিত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

 

 

তবে এলাকাবাসীর কপালে চিন্তার ভাজ। কারণ শুষ্ক মৌসুমেই জলাবদ্ধতায় আবদ্ধ তারা। সামনে বর্ষা মৌসুম। তখন পরিস্থিতি হবে আরো শোচনীয়। তাদের দাবি বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতা দূর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।  এন.হুসেইন/জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন