শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে অভিষ্ট লক্ষ্যে আইভী

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

প্রতি বার নির্বাচন এলেই ষড়যন্ত্রের মুখোমুখী হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে এবার নির্বাচন যখন একেবারে দ্বারপ্রান্তে তখন পুরনো ষড়যন্ত্রকারীরা অতীতের তুলনায় অনেকটাই স্তিমিত। এরই মাঝে একজন ঘোষণা দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের চেয়ারে কে বসলো আর কে না বসলো এ নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কর্মীদেরও এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে বারন করেছেন তিনি। এবার হয়তো তিনি বুঝেছেন মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই।

 

তাই এরই মাঝে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন তিনি। এদিকে একের পর এক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আরো একটি নির্বাচনে দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছেন অভিষ্ট লক্ষ্যে। ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিগত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খানকে প্রায় আশি হাজার ভোটের ব্যাবধানে হারিয়ে এই সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছেন আইভী।

 

এর আগের বার তিনি এক লাখের বেশি ভোটের ব্যাবধানে হারিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে। শামীম ওসমানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন করেছিলেন। বিএনপির নূরুল ইসলাম সরদারকে হারিয়েছিলেন প্রায় ১৭ হাজার ভোটে। ওই নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত ছিলো না। ফলে সেই পৌরসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রায় আঠারো বছর ধরে তিনি নারায়ণগঞ্জের গনমানুষের নেত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এরই মাঝে তাকে সরাতে ষড়যন্ত্র কম হয়নি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্ক্যান্ডাল ছড়ানো থেকে শুরু করে দুর্নীতির অভিযোগ এবং সর্বশেষ মন্দির, মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা দখলের কল্পিত কাহিনী ছড়ানো হয়েছে।

 

আইভীর অভিযোগ তাকে নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের কাছ থেকে সড়াতে রাতদিন একাকার করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং তার দোসররা। এবং শামীম ওসমানকে এসব কাজে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন তার বড় ভাই অপর এমপি সেলিম ওসমান। আইভী প্রকাশ্যে জনসভায়ই এই অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এসব করে তাদের কোনো লাভ হয়নি। না পেরেছেন তারা আইভীকে সরাতে, না পেরেছেন মানুষের মন থেকে আইভীকে মুছতে। বরং ঘটছে উল্টো ঘটনা। তারা যতো ষড়যন্ত্র করছেন ততোই আইভী আরো শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় হচ্ছেন। ফলে পরিস্কার বুঝা যায় মানুষ কোন অপপ্রচারে বিশ্বাস করে না। মানুষ বিশ্বাস করে কাজে।

 

এবার একদিকে আইভীর বিরুদ্ধে মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ তুলে মাঠে নামানো হয়েছিলো হিন্দুদের, অপরদিকে মসজিদ ও মাদ্রাসার জায়গা দখেলের অভিযোগ তুলে মাঠে নামানো হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জের হেফাজত নেতাদের। সর্বশেষ কবরস্থানে শ্মশানের মাটি দেয়ার মতো বানোয়াট গল্প নিয়ে নিজেই মাঠে নেমেছিলেন একজন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মানুুষ বেশ পরিস্কার ভাবে জেনেছে আইভী কোনো মন্দিরের জায়গা দখল করাতো দূরের কথা উল্টো তিনি মন্দির গড়েছেন। একই ভাবে তিনি কোনো মসজিদ বা মাদ্রাসার জায়গা দখলের পরিবর্তে মসজিদ মাদ্রাসা গড়েছেন। কবরস্থানে কোনো শ্মশানের মাটি দেয়নি কেউ।

 

ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের হয়ে যারা মাঠে নেমেছিলো তারা নাস্তানাবুধ হয়েছেন। আর এসব কারনে তিনি তার এই মেয়াদের শেষ বছরে এসে আরো জনপ্রিয় হয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর এক বছরও বাকী নেই। এরই মাঝে  মেয়র আইভী বেশ কয়েকটি মেঘা প্রকল্পের কাজ গুটিয়ে এনেছেন। জিমখানা লেকের কাজ প্রায় শেষ করেছেন। শেষ পর্যায়ে রয়েছে বাবুরাইল খাল এবং সিদ্ধিরগঞ্জ খাল নির্মানের কাজ। আর এসব কিছুই দেখছে নারায়ণগঞ্জের সর্ব স্থরের জনগণ।

 

তাই এই জনপদের মানুষকে বলতে শোনা যায় কাজ পাগল আইভী ব্যস্ত রয়েছেন কাজ নিয়ে, আর ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যাস্ত রয়েছেন ষড়যন্ত্র নিয়ে। তারা উভয়েই আগামী দিনে তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করবেন। সাধারন মানুষ রয়েছেন আইভীর পাশে। ফলে জানা গেছে সততা আর সাহসিকতা নিয়েই আরো একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী।
 

এই বিভাগের আরো খবর