শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেবের বিরুদ্ধে ইভটিজিং

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২  

 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেবের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এবং মানষিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় জিডি করা হয়েছে। শহরের পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত  বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের এক নারী শিক্ষক বাদী হয়ে এ জিডি করেন।

 

তিনি জানান, গতকাল বুধবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ দফা কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ কর্মশালায় বিদ্যানিকেতনের একজন পুরুষ এবং একজন নারী শিক্ষক অংশ গ্রহণ করে। একপর্যায়ে উপজেলা  মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব নারী শিক্ষকের পাশের চেয়ারে বসে নানান রকম কুপ্রস্তাব দেয়। এসময় ঐ কর্মকর্তা  তার অফিস কক্ষে যাওয়ার জন্য প্রলোভন দেয় এবং একজন ৪০ উর্ধ্বে বয়সের একজন লোককে দেখিয়ে বলেন তাকে বিয়ে করার জন্য। একসময় নারী শিক্ষকের দুপুরের খাবার পিয়নের মাধ্যমে তার অফিস কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে যাওয়ার জন্য তাকে বলে। এসময়  নারী শিক্ষক আবু তালেবের প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে অনুষ্ঠান শেষ না করেই চলে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নারী শিক্ষক বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তার সহকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হয়ে উঠে ।

 

পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজকে জানালে তারা আবু তালেবের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।  এ ব্যাপারে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা বলেন, একজন নারী শিক্ষককে একজন সরকারী কর্মকর্তা এভাবে হয়রানী ও অপমান করার জন্য আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন প্রশাসন যদি তিন দিনের মধ্যে আবু তারেবের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না কওে আমরা মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করবো।

 

বিদ্যানিকেতন ট্রাষ্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, আবু তালেবের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষক হয়রানী করার নানান অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন আমরা এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, এডিসি তোফাজ্জল হোসেন ও জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজকে জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকের মাধ্যমে জিডি করা হয়েছে। আমরা রবিবার পর্যন্ত দেখবো প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারপর আমরা ছাত্র,শিক্ষক ,অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কর্মসুচি গ্রহণ করবো।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন জানান, তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নারী শিক্ষককে লাঞ্ছনা করার বিষয়টি অবহিত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ফতুল্লা থানার ওসি রিয়াজুল হক জানান, ভুক্তভোগী নারী শিক্ষক থানায় এসে জিডি করেছেন। জিডি নম্বর-১০৮৭। এসআই (তদন্ত) তারিকুল ইসলামকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর