শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সদর ও বন্দর ১নং খেয়াঘাট রোড, ঘাট ইজারাদারের অবৈধ দখলে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২২  

 

# আমরা অনেক বার দোকান উচ্ছেদের অভিযান চালিয়েছি, তারা আমাদের তোয়াক্কা করে না: নৌ ওসি

 

নারায়ণগঞ্জের ১নং খেয়াঘাটের রোডের মাঝে অবৈধ দোকান বসিয়ে রোড দখল করে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়মিত চলাচল করা পথচারীদের। এমনকি ফুটপাত দিয়ে পথচারীরা হাঁটতে পারছেন না। এই রাস্তা দিয়েও চলাফেরা কঠিন হয়ে পরেছে। যার কারণে এই রোডে নিয়মিত যানজট লেগেই থাকে। এই রোড দিয়ে নিয়মিত হাজার হাজার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী , শ্রমিক, অফিসগামী মানুষের চলাচল। 

 


এই রোডে বন্ধ করে মাঝে ফলের দোকান, চা-সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন প্রকারের ১৪ টি অস্থায়ী দোকান রয়েছে। এই দোকানগুলো রাস্তার বন্ধ করে রাস্তার মাঝে বাসানো হয়। তথ্য সূত্রে জানা যায়, এই রোড দখল করে যে দোকানগুলো বসানো হয় সেগুলো ১নং খেয়াঘাটের টোল ইজারাদারকৃত লোকেরা বসিয়ে থাকে। এই দোকানগুলো বসানের আগে প্রায় ৫০০০ টাকা নেওয়া হয় পরে নিয়মিত দোকান প্রতি দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে উঠানো হয়।  

 

 

প্রতিদিন  সকাল থেকে এই দোকানগুলো এই জনগুরুত্ববপূর্ণন্ধ রাস্তাটি বন্ধ করে বসে থাকে। এত করে বন্দর থেকে সদরে আসা লোকেরা নিয়মিত নানা ধরনের ভোগান্তাতি পড়েন। সামনে নৌ পুলিশ ফাঁড়ি থাকার সত্যে ও এটার তোয়াক্কা না করে তারা দিব্বি দোকান বাসিয়ে চলেছে। এই বিষয় সাধারণ জনগণের মতামত জানতে চাইলে তারা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। 

 


এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী জানান, আমি নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি কিন্তু একদিনও এই রাস্তা দিয়ে আমরা রিক্সা নিয়ে ঘাট পর্যন্ত যেতে পারি না। আমাদের এই সমস্যা দেখার কেউ নেই। এটার একটা সঠিক সামাধান জরুরী ভিত্তিতে করা প্রয়োজন।  

 


এ বিষয়ে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, ‘এই রোডে অনেকগুলো দোকান বসে। আমরা অনেক বার দোকান উচ্ছেদের অভিযান চালিয়েছি। তারা আমাদেরকে তোয়াক্কা না করে এই রোড বন্ধ করে দোকান বসায়।’ এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর