মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

সদরে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের তিন প্রার্থী

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২১  

# দুই এমপি নির্বাচনে আগ্রহী না হওয়ার এটাও একটি কারণ


নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন না হওয়ার আরো একটি কারণ হলো ওসমান পন্থী তিন প্রার্থী। তাই এই তিন প্রার্থীর মাঝে কাকে রেখে কাকে মনোনয়ন দেবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে না পারার কারনেই নির্বাচনের ব্যাপারে এমপিরা কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আর এই তিন প্রার্থী হলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন।

 

এই তিন জনের মাঝে তিন জনই সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শামীম ওসমানের পছন্দের প্রার্থী হলেন শাহ নিজাম। আর অপর সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের পছন্দের প্রার্থী হলেন সাজনু। এছাড়া সাজনুকে সমর্থন করেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল। মূলত এ কারণেই সদর উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। এমপি ভাইয়েরা কাকে রেখে কাকে মনোনয়ন দেবেন এই স্বিদ্ধান্ত নিতে না পারার কারণেই নির্বাচনের দিকে পা বাড়াচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

 

আর এই সুযোগে কোনো যোগ্যতা না থাকা সত্তে¡ও বিগত ১৪ বছর ধরে সদর উপজেলার চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে আছেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত এড.আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে এই আজাদ বিশ্বাস বছরের পর বছর ধরে বিএনপির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছেন। তিনি আসলে ওসমান পরিবারের দালাল। মূলত দুই ওসমান এমপির পা চাটার কারণেই বিনা ভোটে তাকেই রেখে দিচ্ছেন ওসমান এমপিরা। মূলত আজাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই করছেন খোদ বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা আজাদকে নিয়ে সরাসরি ফেসবুকেও এমন মন্তব্য করছেন।

 


এদিকে সদর উপজেলা এলাকার বাসিন্দারা মনে করেন, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান এমপি নিজেদের স্বার্থেই আজাদ বিশ^াসকে ধরে রেখেছেন। তারা জনগণের স্বার্থ দেখছেন না। সবাই মনে করেন নির্বাচন হলে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে যারা আছেন তারা জিততে পারতেন না। জয়ী হতেন নতুনরা। আর সেই ক্ষেত্রে আর যাই হোক তিনটি পদে নতুন প্রার্থীরা জয়ী হলে জনগণের কাছে ছুটে যেতেন এবং মানুষের সমস্যাগুলি প্রশাসনের নজরে আনতে পারতেন।

 

ফলে উপকার হতো সদর উপজেলার সাধারণ মানুষের। কিন্তু বিনা ভোটে চৌদ্দ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন এবং ফাতেমা মনির কোনো কাজই করছেন না। সাধারণ মানুষ তাদের কোনো দেখাই পান না। কোনো কাজ না করেই এরা দীর্ঘ বহু বছর ধরে সরকারী বেতন ভাতাসহ নানা সুবিধা ভোগ করছেন।

 


অপরদিকে এই উপজেলার রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি এখন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তাই এই সুযোগে সদর উপজেলা নির্বাচনের আয়োজন করা যেতে পারে। আর তাতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। কারণ যিনিই জিতেন না কেনো তাদের মাঝখান থেকেই জিতে আসবেন একজন। আর সেটা করা হলে মানুষ পাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। বিদায় নেবে অথর্বরা। নতুন করে নির্বাচিতরা এসে কিছুটা হলেও মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তাই কোনো অজুহাতেই আর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন বন্ধ করে রাখা ঠিক হবে না বলে তারা মনে করেন। তাই দুই ওসমান এমপির উচিৎ এই উপজেলায় নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু ওসমানরা কারো কথাই শোনেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর