শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সবজিকে সাথে নিয়ে মুরগীর দামেও ঊর্ধ্বগতি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৩  

 

গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সবজির দাম। তার পাশাপাশি বাড়ছে বয়লার মুরগির দামও। নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে পরিবারের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্য ও নিম্নবিত্তরা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়. এছাড়া লাল লেয়ার মুরগির দাম ৩২০ টাকা এবং কর্ক মুরগির দাম ৩৬০ টাকা করে। পেয়াজের পাল্লা ১৪০ টাকা, আলু ১ পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে, রসুনের কেজি ১১০ টাকা, ধনিয়া পাতা ৬০ টাকা কেজি, লেবু (১হালি) ৬০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ৬০ টাকা, মরিচের কেজি ৯০ থেকে ১৫০ পর্যন্ত রয়েছে।

 

দিগুবাবুর বাজারের এক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আগের তুলনায় বাজারে সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুই আমদানি কমে গেছে। ঠিক ভাবে আমদানি না হলে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। কারন আমাদেরও তো পরিবার আছে। আমাদেরও তো সংসার চালাতে হয়। তার পাশাপাশি দোকান ভাড়া, বাসা ভাড়া তারপর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সবকিছুরই তো খরচ চালাতে হয়।

 

হাফসা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, আগের তুলনায় শুধু সবজির দাম না নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুরই দাম বেড়েছে। আগে সুষম খাদ্যের চাহিদা মেটানো জন্য আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা বয়লার মুরগি খেয়ে ঘাটতি পূরণ করতো কিন্তু এখন এই বয়লার মুরগি কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকারও বেশি।

 

অপর ব্যক্তি সালমা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন দিনমজুর। যে টাকা সে উপার্জন করে তা দিয়ে তো মাছ- মাংস কিনে খাওয়া সম্ভব না। তাই দিন কাটছে শাক কিংবা সবজি খেয়ে এখন সেই সবজির দামও আগের চেয়ে অনেক বেশি। ধীরে ধীরে এর দাম কমার চেয়ে আরো বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কই আমার স্বামীর রোজগার তো বাড়ছে না। গুরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা করে তা আমদের নিম্নবিত্তদের সাধ্যের বাহিরে।  

এস.এ/জেসি

 

এই বিভাগের আরো খবর