শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সরবরাহ না বাড়ায় কাঁচাবাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি

নুরুন নাহার নিরু

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২২  


 
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার সকল সরকারি অফিস আদালত খুলে দেওয়া হলেও বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয় শনিবার থেকে। ঈদুল আজহার ছুটি মূলত তিনদিন হলেও এবারের সরকারি ছুটি ছিল চারদিন। ঈদ রোববার হওয়াতে শুক্র থেকে সোমবার পর্যন্ত চারদিন ঈদের ছুটি ছিল। এতে অনেক সরকারী চাকুরিজীবী আফসোসও করেন। কারণ ঈদের দিন যদি রোববার না হয়ে সোমবার কিংবা বুধবার হতো তাহলে ঈদের ছুটি তারা পাঁচদিন পেতেন। যার ফলে ঈদের তৃতীয় দিনই সকল সরকারি কর্মজীবীদের কর্মস্থানে যোগ দিতে হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শিল্প বাণিজ্যিক নগরী হওয়ায় এবং বেশিরভাগ কল-কারখানা শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকায় এসব বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ছুটি পায়। এর ফলে বেশ লম্বা সময়ের জন্য ফাঁকা থাকে শহর। এর প্রভাব পড়ে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় পাইকারী কাচাবাজার দ্বিগুবাবুর বাজারে। ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পরেও শহরের এই ব্যস্ততম বাজারটি দেখা যায় ক্রেতাশূন্য।


 
গতকাল সরেজমিনে দ্বিগুবাবুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। হরেক রকম পণ্যের পশরা নিয়ে সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা নাই বললেই চলে। আর এর অনেকটা প্রভাব পড়েছে পণ্যের মূল্যে। চাহিদার তুলনায় গ্রাহক না থাকায় তুলনামূলক কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঈদের ছুটি শেষ হলেও অনেকে এখনও কর্মস্থলে ফিরেননি। এখন বর্তমানে সকল সবজির দাম কমের দিকে।
 
 
ঈদের পর বেচাকেনার অবস্থা জানতে চাইলে সবজি ব্যবসায়ী মো. আসলাম জানান, বাজারে বেচাকেনার অবস্থা বেশি একটা ভাল না। ঈদের ছুটির পর বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম হওয়ায় আমাদের ব্যবসা অনেকটা ক্ষতির দিকে। তাছাড়া ঈদের ছুটির কারণে বাজারে ঠিক মতো সবজি আমদানি হচ্ছে না। সবজির বাজার ঠিক হতে আরও পাঁচ থেকে ছয় দিন লাগবে বলে জানান তিনি।


 
মো. রুবেল নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে পেয়াজের প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ১৯০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ২/৩ টাকা করে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও আদা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, রসুন (চায়না)  প্রতি কেজি ১২০ টাকা।


 
বাজারের অন্যান্য সবজির বর্তমান দরও অনেকটা কম দেখা যায়। বেগুন প্রতি কেজি ৩০টাকা, শশা ৮০ টাকা, পটল ২০ টাকা, লতি ২০ টাকা, জিঙ্গে ৪০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, ধুন্দুল ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কহি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা, কক্ মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর