বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সাইনবোর্ডের অপরাধ সাম্রাজ্য আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 

# ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেনা কেউ
# একসময় আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল এখন নাই : আলমগীর

 

 

নারায়ণগঞ্জের মধ্যে ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে লিংকরোড। এই সড়কের সাইনবোর্ড এলাকাটি বর্তমানে অপরাধীদের সাম্রাজ্য বিস্তারের পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক যানবাহন চলাচল করে আর এই যানবাহনকে পুঁজি করে এই এলাকাটিতে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে বেশ সক্রিয় রয়েছে একদল চাঁদাবাজ। তারা এই এলাকায় শুধু পরিবহন চাঁদাবাজরাই নয়, তাদের মাধ্যমেই এই এলাকাটিতে সংগঠিত হচ্ছে নানান অপরাধ। তার মধ্যে চুরি, ছিনতাই, ফিটিংয়ের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটেই চলছে। শুধু তাই নয়, এই এলাকায় এখন মাদকের হাট পুরোপুরি জমে উঠেছে।

 

জানা যায়, এই এলাকায় এখন মোছা বালির মাধ্যমে পুরো সাইনবোর্ড ও ভূঁইঘর এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতে মাদকের রমরমা বাণিজ্যে চলছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সকল মাদক ব্যবসায়ী সেল্টারদাতাদের অন্যতম ভূমিকা পালন করছে যে আর কেউ নয় কুতুবপুর ১ নং ওয়ার্ডের একজন আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন। তার নির্দেশনায় এই সকল মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজরা এখন অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাইনবোর্ড ও ভূঁইঘর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। আর এই সকল বাহিনী দিয়েই মূলত তিনি নানান ধরণের অপকর্ম করাচ্ছেন।

 

আবার অনেকেই বলছেন, স্থানীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের নাম ভাঙিয়ে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অসহায় মানুষের জায়গা দখল করার অভিযোগ। তবে এই আওয়ামী লীগ নেতা এতটাই ভয়ঙ্কর তার কাছে কেউ যেতে চায়না। তার তার বিরুদ্ধে পাহাড় পরিমাণ অভিযোগ থাকলেও কেউ কিছু বলার সাহস পায়না। তবে আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্মের কথা কতটা সত্য সেটা তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গত চার বছর আগে অটোর লাইন, পরিবহন লাইন সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সাইনবোর্ডে একটা অফিস নিয়া এটা আমি নিয়ন্ত্রণ করছি।

 

যাই করছি তখন আমাদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়া হইছে, অনেক কিছু হইছে আর তারপর থেকে এই অটোর লাইনে আমি কিংবা আমার কোন লোক এর দায়িত্বে নাই। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তাকে প্রমাণ দিতে বলেন আর না দিতে পারলে আমি ওই লোকের বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ করমু। জানা যায়, সাইনবোর্ড এলাকাতে শুধুমাত্র চাঁদাবাজি করেই উঠানো হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। আর যা সকল চাঁদাবাজরা ভাগবাটয়ারা করে নিচ্ছে। তবে এই সকল অপকর্ম প্রকাশ্যে হলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা না থাকার কারণে এই সকল অপরাধীরা অধরাই রয়ে যায়।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর