বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

সাইনবোর্ডের চাঁদাবাজরা প্রশাসনকেও তোয়াক্কা করেনা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩  

 

# তারা যখন চাঁদাবাজি করে আমরা দেখি না  : হাইওয়ে ওসি

 

 

ঢাকা- চট্টগ্রাম-সিলেটের হাইওয়ে রোড এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে লিংক রোড থেকে ঢাকা যেতে হলে সাইনবোর্ড দিয়েই যেতে হয়। আর এই ব্যস্ততম রোডটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লাখেরও বেশি লোকজনের চলাচল। শুধুমাত্র নারায়ণগঞ্জ থেকেই সাইনবোর্ড রোডে প্রতিদিন কয়েক হাজার অটো, মিশুক, সিএনজি চলাচল করে। আর এই সকল পরিবহনকে পুজি করে সাইনবোর্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজ ব্যাপক ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই চাঁদাবাজরা কয়েকটা সিন্ডিকেট হয়ে কাজ করছে। এই সকল চাঁদাবাজরা শুধু নিজেদের প্রভাব খাটিয়েই নয় এখন তারা র‌্যাব ১১, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও ফতুল্লা থানার পুলিশকে ম্যানেজ করার কথা বলে পরিবহন ও সাইনবোর্ড এলাকায় যে সকল হকার এবং অবৈধভাবে দোকানপাট গুলো রয়েছে তার প্রত্যেকটার থেকে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা তোলা বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।

 

তবে এই সকল চাঁদাবাজরা এখন প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে কিন্ত প্রশাসন তার কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। তারা সব কিছু জেনেও যেন না জানার ভান করছে। তবে চাদাঁবাজরাও দাবি করছে তারা এই চাঁদা একা নেন না প্রশাসন তাদের নেতৃত্ব দেন আর তাদের টাকাই তারা তোলেন। আর সেই টাকা সবাই মিলে ভাগবাটয়ারা করে এমনটাই অভিযোগ রয়েছে। যার জন্য প্রশাসনও সবকিছু দেখেও নিরব ভূমিকায়। বিশেষ করে এদের মধ্যে অন্যতম বাদশাহ, কবির, কালাম হাওলাদার, মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদের নেতৃত্বে এ সকল চাদাঁবাজরা মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

 

জানা যায়, সাইনবোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক অটোরিকশা, সিএনজি স্টান্ড থেকে বাদশাহ, কবির, কালাম হাওলাদার, মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদ, প্রতিদিন অটো থেকে ১০ হাজার, সিএনজি থেকে ১৫ হাজার ফুটপাতের  দোকান থেকে ১০ হাজার সব মিলিয়ে এসব সেক্টর থেকে প্রতিদিন  সর্বমোট ৩৫০০০ হাজার টাকা উঠায় তারা যা মাসে প্রায় দশ লাখেরও বেশি টাকা আদায় করছে। আর এই চাঁদাবাজির কারণে এর আগে র‌্যাব ১১ এর হাতে চাঁদাবাজ কবির, কালাম হাওলাদার, বাদশাহ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো কিন্ত বেশ কিছুদিন পর আবার তারা জামিনে বের হয়েই শুরু করে দেয় সেই চাঁদাবাজি। এবার তারা নিজেদের নাম বিক্রি করে নয় প্রশাসনের কথা বলেও টাকা তুলছে।

 

আবার এই সাইনবোর্ড মহাসড়কে ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এই সকল অবৈধ দোকান থেকে প্রতিদিন ২০০-৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এবং তাদেরকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দিচ্ছে এই সকল চাঁদাবাজরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সিএনজি, অটোরিক্সা চালক জানান, আমাদের কাছ থেকে তারা প্রতিদিনই ১০০ টাকা করে নেয়। দীর্ঘদিন যাবৎ বাদশাহ কবির ও কাইল্লা মাসুদের নেতৃত্বে হয় এ সকল চাঁদাবাজি। তাদের এই চাঁদাবাজি এখন ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌছে গেছে কোনভাবেই থামানো সম্ভব হচ্ছে না। পুরো সাইনবোর্ড এখন পুরোদমে তাদের নিয়ন্ত্রনে।

 

এ চাঁদাবাজদের বিষয়ে জানতে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কাশেম জানান, তারা যে চাঁদাবাজি করে তা আমরা দেখিনা। আর যদি আপনারা দেখেন তাদের চাঁদাবাজি করতে তাহলে তাদের না করে দিবেন তারা যেন চাঁদাবাজি না করেন। আমরা যদি দেখি তারা চাঁদাবাজি করছে তখন ব্যবস্থা নেব।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর