শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সাওঘাট টু আড়াইহাজার রোডে যানজট মানুষের ভোগান্তি চরমে

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২২  

রূপগঞ্জে সাওঘাট টু আড়াইহাজার রোডে যানজটে মানুষের ভোগান্তির আর শেষ নাই। সাধারন মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ প্রতিদিন এ রোডে গ্রামটেক ও ফকির ফ্যাশন গার্মেন্টসের শ্রমিকদের ভীড়ে রাস্তায় চরম যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। গাড়ি চালানোর কোন সুযোগই থাকে না, শ্রমিকদের পদচারনায় এ রোডে বেঁধে যায় গাড়ির দীর্ঘ জ্যাম। ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থেকে মানুষের ভোগান্তির আর শেষ নাই।

 

জানা যায় এই এলাকায় গ্রামটেক, ফকির ফ্যাশন, নান্নু স্পেনিং মিলস, রকিসহ বড় বড় অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় মানুষের বসবাস অনেক বেশি। এসকল প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কারনে সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সাড়ে নয়টা, আবার রাত সাড়ে আটটার থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত এ রোডে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি করে।

 

একে তো পথচারীদের চলাচলে তৈরি হয় যানজট, অন্য দিকে গ্রামটেকের বাস গাড়ি রাস্তার উপর পার্কিং করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বেশি। সরেজমিনে দেখা যায় গ্রামটেকের গাড়িগুলো দাড়িয়ে আছে রাস্তার উপর। সাওঘাট-আড়াইহাজার রোডে গ্রামকেটের গাড়ি মানুষের একমাত্র বিষফোঁড়া। তাদের গাড়ি এ রোডে সকাল বিকাল দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি করে আসছে এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।

 

ভুক্তভোগী মানুষ এ যানজটের কারণ বলে অভিযোগ করেন গ্রামটেক কারখানার গাড়ি পার্কিং। জানা যায়, গ্রামটেকের শ্রমিক বহনের জন্য রাখা গাড়িগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাস্তার উপর দীর্ঘ লাইন দিয়ে রাখা হচ্ছে। ওই রোডে যাতায়াত গামী সাধারন মানুষের অভিযোগ গ্রামটেকের এমডি আব্দুল্লাহ হীল রাকিব নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর আত্নীয় পরিচয় দিয়ে এ প্রভাব বিস্তার করছে বলেও জানা যায়। গ্রামটেকের এমডি প্রধানমন্ত্রীর আত্নীয় হওয়ায় তাদের কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না

 

এলাকাবাসীও জানান এমডি একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর আত্নীয় পরিচয় দেয়ার কারনেই প্রভাব খাঁটিয়ে রাস্তার উপর গাড়ির পার্কিং করে আসছে। রোডে চলাচলরত যানবাহনে বিশাল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না বলে অভিযোগ উঠছে।

 

সাওঘাট টু আড়াই হাজার রোডের সিএনজি চালক বাদশা জানান, আমরা ভাই দিনে সাত আটটা টিপ মারতে পারি যদি রাস্তা জেম না থাকে। কিন্তু গ্রামটেক ও ফকির ফ্যাশনের গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আমরা তিন চারটি টিপের বেশি মারতে পারি না। এই রোডের উপর গাড়ির পার্কিং বন্ধ হলে আমাদের ইনকাম বাড়তো, আমরা ভালোভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে পারতাম।এসএম/জেসি 
 

এই বিভাগের আরো খবর