মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সাখাওয়াতকে মারধর, তুলে নেয়ার চেষ্টা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২১  

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে তারই এক জুনিয়র আইনজীবীর বিরুদ্ধে। একই সাথে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টাও করেন জুনিয়র ওই আইনজীবী। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত সংলগ্ন সাখাওয়াত হোসেনের নতুন চেম্বারে এই ঘটনা ঘটে। আদালতের একাধিক আইনজীবী দৈনিক যুগের চিন্তাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আইনজীবী দৈনিক যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘হামলাকারী ওই আইনজীবীর নাম এ্যাড. শহীদ সারোয়ার। তিনি সাখাওয়াত হোসেনের জুনিয়র আইনজীবী ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পূর্বে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে সাখাওয়াত হোসেনের উপর ক্ষুব্ধ হন তার জুনিয়র অ্যাড. শহীদ সারোয়ার। এরপর থেকেই সাখাওয়াত হোসেন খানকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। অভিযুক্ত শহীদ সারোয়ার অ্যাড, তৈমূর আলম খন্দকারের অনুসারী।’


তিনি জানান, ‘দীর্ঘ ১৭ বছরের পুরোনো সেই বিরোধ ও ক্ষোভের জেরে গতকাল দুপুর ১২টার পর অভিযুক্ত অ্যাড. শহীদ সারোয়ার অজ্ঞাতনামা ৭ জনকে নিয়ে লাল রংয়ের একটি মাইক্রোবাস যোগে এসে সাখাওয়াত হোসেনের নতুন চেম্বারে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি সাখাওয়াত হোসেন খানের গায়ে হাত তুলে তাকে রক্তাক্তও করেন।’


‘একপর্যায়ে তুলে নেয়ার উদ্দেশ্যে চেম্বার থেকে ধস্তাধস্তি করে সাখাওয়াত হোসেন খানকে বাইরে সিঁড়ি কোঠায় বেড় করে আনা হয়। পরবর্তীতে সাখাওয়াত হোসেনের ডাক-চিৎকারে তার পার্শ্ববর্তী চেম্বার থেকে জেলা মৎসজীবী নেতা অ্যাড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানসহ অন্যান্য আইনজীবীরা এসে সাখাওয়াত হোসেন খানকে উদ্ধার করে এবং হামলাকারী অ্যাড. শহীদ সারোয়ারকে আটক করে। এসময় তার সাথে আসা বহিরাগত অজ্ঞাতনামা ৭জন পালিয়ে যায়। অজ্ঞাতনামারা মুখে মাস্ক পড়িহিত ছিলো। তাই তাৎক্ষনিক ভাবে ওই সাত জনকে সনাক্ত করতে পারেনি সাখাওয়াত ও তার সতীর্থসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা।’  


ওই আইনজীবী আরো জানান, ‘হামলাকারী অ্যাড. শহীদ সারোয়ারকে আটকের পর তাকে উপস্থিত লোকজন গণধোলাই দেয়। এরপর সে সাখাওয়াত হোসেন খানের কাছে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনার পর ঘটনাস্থল থেকে মুক্ত হন।’


এই বিষয়ে আহত অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও হামলাকারী অ্যাড. শহীদ সারোয়ারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের উভয়ের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


এদিকে, বিএনপি অঙ্গনতো বটেই নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়াসহ দেশ ব্যাপি খ্যাতি রয়েছে অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের। তবে, বিজ্ঞ এই আইনজীবীর সাথে আচমকা এমন শারীরিক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটায় প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ আইনজীবীরা। তাছাড়া, ১৭ বছরের পূরনো এমন তুচ্ছ বিরোধের জেরে বিজ্ঞ এই আইনজীবীর উপর এমন হামলার ঘটনা ঘটায় অনেকেই হয়েছেন হতভম্ব। তবে, এমন হামলার ঘটনার পরও সাখাওয়াত হোসেনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেনের ঘনিষ্ঠ সূত্র। 
 

এই বিভাগের আরো খবর