মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

সুইমিংপুলের পানিতে জনতার ভোগান্তি !

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২১  

নয় কোটি টাকা ব্যায়ে পঞ্চবটির মেথর খোলা থেকে বক্তাবলী সড়কে আরসিসি ঢালাই করা হয়েছিল। সাংসদ শামীম ওসমান এই সড়কটি নির্মাণের ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতির কারণে সড়কের পাশ দিয়ে পয়ঃনিস্কাশনের জন্য যে ড্রেণ করা হয়েছিলো  সেই ড্রেনের পানি অন্যত্র না সরে সড়কের উপরই অবস্থান করে। বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে সমানভাবেই এই সড়কে পানিতে টই টুম্বুর থাকে। মাদারকালার গার্মেন্টস, আরএস ডাইংয়ের পানি, চাঁদানী হাউজিংয়ে নোংরা ও এ্যাডভেঞ্জার ল্যান্ড পার্কের সুইমিং পুলের পানিতে জনগণের দূর্ভোগ এখন নিত্য দিনের সঙ্গী। কিন্তু দেখার কেউ নেই ! নীরব এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। এনায়েতনগরের ও বক্তাবলীর ১০/১৫টি গ্রামের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমিকরা ভোগান্তি বছরের বছরের পর বছর।


২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে শামীম ওসমান পঞ্চবটির মেথর খোলা থেকে বক্তাবলী ফেরীঘাট পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজের অঙ্গিকার এলাকাবাসীর কাছে করেছিলেন। নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তার দেয়া কথা অনুযায়ী সরকারের কাছ থেকে ৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস করিয়ে আনেন।  সেই অনুযায়ী সড়কটির কাজও করা হয়। সড়কে যাতে বৃষ্টির পানি আটকে না থাকে সেজন্য ড্রেণ নির্মাণ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা কাজ করেছিলো নিম্নমানের। সেই সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সড়কটি নির্মাণে তদারকির দায়িত্বও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের অনেকের সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আঁতাত হয়। আর সে কারণেই উল্লেখিত সড়কটি নির্মাণে গোঁজামিল দিয়েই প্রতিষ্ঠানটি তাদের দায় সারে। তবে ভোগান্তি এখনো কাটেনি জনতার। সরকার সাংসদ শামীম ওসমানের মাধ্যমে ঐ সড়কটির কাজ করালেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনেক বড় ফাঁকি দিয়েছিল। তা তৎকালীন সময় ইঞ্জিনিয়ারও অদৃশ্য কারনে  নীরব থেকেছেন।


এব্যপারে মুসলিমনগর ও এর আশপাশের এলাকাবাসী বলেন, সাংসদ শামীম ওসমান তার দেয়া কথা রেখেছেন। তবে সড়কটি যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করেছে তারা গোজামিল দিয়েই করেছে। যার কারনে বর্ষা মৌসুমে সড়কের পানি  ড্রেনটি দিয়ে নিস্কাশনতো দূরে কথা উল্টো ড্রেনের পানি সড়কে থাকে।  অপরদিকে সড়কটিকে ছোটোখাটো খাল মনে করে প্রতিদিনই মাদার কালার,আরএস গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান তাদের ডাইংয়ের পানি সড়কের উপরই চাড়ে। অপরদিকে এ্যাডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কের সুইমিংপুলের প্রতিদিনের পানি একটি পাইপের মাধ্যমে সড়কের উপরই ফেলে দেয়। এ কারনে সারা বছরই উল্লেখিত নড়কে পানি থাকে।


এব্যাপারে শাসনগাঁও এলাকাবাসী জানান, মেথর খোলা থেকে  মাদার কালার, আরএস গার্মেন্টস ও বনশ্রীর মোড় পর্যন্ত সারা বছরই পানি থাকে। যে ড্রেন দিয়ে পানি সরার কথা উল্টো সেই ড্রেণ দিয়ে পানি সড়কের উপর আসে। এতে যানবাহন থেকে শুরু করে পথচারীদের নানা রকম ভোগন্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে নারী শ্রমিক ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। বক্তাবলী এলাকাসহ মুসলিমনগর, নবীনগর, শাসনগায়ের মানুষের ভোগান্তি দেখার কেউ নেই। এই সড়ক দিয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক শওকত আলী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। কিন্তু তিনিও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেননি। অপরদিকে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে একাধিকবার জানানোর পরই তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।


এব্যাপারে এনায়েতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ যুগের চিন্তাকে বলেন, মাদারকালার গার্মেন্টস, আরএস ডাইংয়ের পানি, চাঁদানী হাউজিংসহ সবাইকে এই সমস্যার ব্যাপারে নোটিশ দেয়া হয়েছিল কিন্তু এরপরেও তারা এব্যাপারে কোন কর্ণপাত করেনি। আমি খুব দ্রুতই এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। জনগণ ভোগান্তি পোহাবে এটি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।

এই বিভাগের আরো খবর