শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সেমি ফাইনালে আবহনী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২১  

 

সস্বাধীনতা কাপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী। এই জয়ের সুবাধে আবহনী পৌঁছে গেছে সেমি ফাইনালে। দানিয়েল কলিনদ্রেসের অসাধারণ পারফর্ম দেখলেন আজ দেশবাসী। প্রথম দুই ম্যাচে নিজের ছায়া হয়েছিলেন দানিয়েল কলিনদ্রেস। তবে নকআউট পর্বে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা এই ফরোয়ার্ড। তিনি করেছেন দুই গোল। আর একটি করে গোল করেন নাবীব নেওয়াজ জীবন ও ইমন মাহমুদের।


আজ (শুক্রবার) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের একাদশেই ভরসা রেখেছিল আবাহনী। স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নেমে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে দাপট দেখিয়েছে তারা। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রক্ষকভাগের জন্য কিছুতেই বল জালে জড়াচ্ছিলো না। কিন্তু এই রক্ষকভাগ খেলার ৪৫ মিনিট অবধি খেলা ধরে রেখতে পেরেছিলো।


খেলার ৪৫ মিনিটে গোল পায় কলিনন্দ্রেস। মাঝমাঠ থেকে অগাস্তোর ক্রসে কলিনদ্রেস বক্সের ভেতরে বল রিসিভ করে দেখেশুনে ডান পায়ের কোনাকোনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন।


বিরতির পর দোরিয়েন্তনের জায়গায় জীবন মাঠে নামেন। ৫৭ মিনিটে কলিনদ্রেসের ক্রসে জীবন বক্সের ভেতরে ফাঁকায় পেয়েও বল গোলকিপারের হাতে তুলে দেন। ৬৭ মিনিটে জীবন আর ভুল করেননি। চোট থেকে ফিরে এসে প্রথম গোল পেলেন তিনি। অগাস্তোর থ্রুতে বাঁদিক দিয়ে কলিনদ্রেসের ক্রসে ৬ গজের মধ্য থেকে ডাইভিং হেডে জাল কাঁপান।

 

তিন মিনিট পর আবাহনীর আবার গোল উদযাপন। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রিকিকে কলিনদ্রেস জাল কাঁপান। ৭৬ মিনিটে ইমন চতুর্থ গোল করে সেনাবাহিনীকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন। রাকিব হোসেনের লবে ইমন হেডে স্কোরলাইন ৪-০ করেন। এমনিতেই আশা একরকম শেষ হয়ে গিয়েছিল সেনাবাহিনীর।

 

তার ওপর ৮১ মিনিটে রাকিবকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন হুমায়ুন কবির খান। শেষ ৯ মিনিট তাই ১০ জন নিয়ে খেলেছে সেনাবাহিনী। এই কারণেই কিনা কলিনদ্রেস ও অগাস্তোকে উঠিয়ে নেন কোচ মারিও লেমস। তাতে অবশ্য স্কোরলাইনে কোনও হেরফের হয়নি। গোল উৎসব করেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
 

এই বিভাগের আরো খবর