বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ে আ’লীগের ঈমানদারির পরীক্ষা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২২  


# উপজেলার ১০ চেয়ারম্যানের ৯ জনই আ’লীগ, জাপার ১


# মরিয়া এমপি, আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ

 



জাতীয় নির্বাচনের আগেই সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগ নেতকর্মীদের বিশ্বস্ততরার পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে  ৩নং ওয়ার্ডের সদস্যপদের নির্বাচনে এটি পরীক্ষা করা যাবে। সূত্র বলছে, এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌরসভা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের ভোটে সদস্য নির্বাচন করা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বাবু চন্দনশীল নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সদস্য পদে। গত দুই মেয়াদের জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে (সোনারগাঁ)  জাতীয় পার্টির সাংসদ রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

যদিও এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেয়ার তুমল দাবি রয়েছে তৃণমূল। সময়ের ব্যবধানে জাতীয় পার্টি এই আসনে অনেক গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। বিশেষ করে হেফাজত নেতা মামুনুল হক কাণ্ডে এখানে জাতীয় পার্টির নেতারা ইমেজ সংকটে পরে। কিন্তু এরপরেও চলমান জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে জাতীয় পার্টির তরফে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা  জাপার প্রার্থী জেল জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবালকে জয়ী করতে মরিয়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

যদিও এই আবু নাঈম ইকবাল মামুনুল হক কাণ্ডে হেফাজতের তান্ডব মামলার আসামি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সদস্য পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সূত্র বলছে, সোনারগাঁ উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন টিকেট নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন।

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি ইউনিয়নে শুধুমাত্র রয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এড. শামসুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর বাবু। এখন  দেখার বিষয়  আওয়ামীলীগের সীল দিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরা এখন আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে ভোট দেন কিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

যদিও সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার সাথে আওয়ামীলীগের একটি অংশের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। সদস্য পদে আওয়ামীলীগার মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের পক্ষে ইতিমধ্যে সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ আওয়ামীলীগ নেতাদের বড় একটি অংশ মাঠে নেমেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 


সুত্র জানিয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ৩নং ওয়ার্ড থেকে ৫ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। তারা হলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আবু নাঈম ইকবাল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফারুক ওমর, সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার। এরমধ্যে মনোনয়ন পত্র আলী হায়দার ছাড়া সবাই জমা দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে সবাই টিকলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন ফারুক ওমর। সুত্র জানায় ফারুক ওমর একজন শক্তিশালী প্রার্থী হলেও আবু নাঈম ইকবালকে জয়ের জন্য তাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে নির্বাচন যতই গনিয়ে আসছে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও আবু নাঈমের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ততই জটিল হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

তাদের নিজ পন্থীদের জেতাতে তাদের পন্থী কায়সার হাসনাত ও লিয়াকত হোসেন খোকা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি গতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জম্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত মাসুমের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন। অপরদিকে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা আবু নাঈমকে জেতাতে ভোটারদের বিভিন্ন প্রকার আশ্বাস দিচ্ছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 



রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় নির্বাচনের আগে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের নেতাদের  মানসিক অবস্থা বোঝা যাবে এবারে এই সদস্য পদ নির্বাচনে। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দাবি করা এখানকার স্থানীয় নেতাদের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছিল। কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টিতে এখন জাপার অবস্থাও নড়বড়ে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের বিভক্তিতে এমনিতেই বর্তমানে টেনশনে সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। এরমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে  সদস্য পদের নির্বাচন আওয়ামী লীগের নেতাদের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ। একই সাথে আওয়ামী লীগের টিকেট পদপদবী এবং জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর নিজেদের ঈমানদারির পরীক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক যোদ্ধারা।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর