শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সোনারগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২২  

সোনারগাঁ উপজেলার শাহ চিল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান কাজে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়ম ও সময়মত কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে কয়েকবার নোটিশ করলেও সে কোন কর্নপাত করছেন না।

 

উপজেলা নির্বাহী কার্য্যালয়সুত্রে জানাযায়, উপজেলার শাহ চিল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনারগাঁ প্রকৌশলীর কায্যালয় থেকে ২০১৯ সালে মিরাজ এন্ড মেহরাব এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোজাম্মল হককে কার্য্যাদেশ প্রধান করা হয়। দুই দফা সময়  বৃদ্ধি করেও উক্ত কাজটি সমাপ্ত করতে পারে নি।

 

ওই বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ অত্যান্ত নিম্নমানের নির্মাণ সমাগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসীরা। এলাকাবাসীরা জানান, ঠিকাদার মোজাম্মেল হক সে  নিজেকে পুলিশের বড়কর্তা আত্মীয় ও প্রশাসনের সঙ্গে তার দহরম মহরম রয়েছে বলে এলাকাবাসীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করে থাকেন। এছাড়া তিনি সরকারি কাজ নেওয়ার পর কাজ না করে বিভিন্ন রকম তালবাহানা শুরু করেন।


ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জনান, আমাদের বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজটি অত্যান্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করা হচ্ছে। এতে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভবনটি ফেটে যাচ্ছে। এতে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, ঠিকাদার মোজাম্মেল হক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজটি পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে তালবাহানা শুরু করেন। এতে সময়মতন কাজ না করায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে প্রতিদিন ক্লাস করতে হয়েছে আমাদেরকে।


বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া জানান, মোজাম্মেল হক এলাকায় একজন প্রতারক হিসেবে পরিচিত। সে ভবনের কাজটি নেওয়ার পর আমাদেরকে যেভাবে হয়রানি করেছেন। এটা অত্যান্ত দু:খজনক। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কোন প্রকার বাধা মানছেন না তিনি।


সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী আরজুরুল হক জানান, এ বিদ্যালয়টি নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার মোজাম্মেল হক কয়েকবার সময় বাড়িয়েও কাজটি সম্পন্ন করতে পারেনি। এছাড়া তিনি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসে এর সত্যতা পান। এ সময় ঠিকাদার মোজাম্মেল হক এলাকাবাসীর তোপের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

এই বিভাগের আরো খবর