বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আরো একজনের মৃত্যু

সোনারগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ মার্চ ২০২১  

সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামে ঘটে যাওয়া আধিপত্য বিস্তারসহ একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত সাইদুল ইসলাম নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

শুক্রবার (৬ মার্চ) রাতে আহত হওয়ার ১৩দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সাইদুল ইসলাম নয়াগাঁও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। এ নিয়ে সংঘর্ষের এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে সংঘটিত সংঘর্ষে আলাউদ্দিন পক্ষের সমর আলী (৪৫) মারা যায়। ঘটনার দুদিন পর সাদেক পক্ষের আলী আহম্মদ মারা যায় এবং ১৩ দিন পর সাইদুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

 

নিহতের ভাই শহিদুল্লাহ মিয়া জানায়, নিহত সাইদুলের লাশ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। শনিবার ময়না তদন্ত শেষে তাকে নয়াগাঁও সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

 

দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৩০ জন আহত এবং উভয় পক্ষের বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলাউদ্দিন পক্ষের আব্দুল আলী ও সাদেক পক্ষের তার স্ত্রী বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

উল্লেখ্য, পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের হাজী আলাউদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান (সাদেক মোল্লার) আধিপত্য বিস্তার ও একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধ ছিল। ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাদেক মোল্লার দোকানে হামলা চালায়। হামলায় ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে এবং সাদেক মোল্লার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
 

পরেরদিন শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সাদেক মোল্লার লোকজন দেশীয় অন্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে আলাউদ্দিন পক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আলাউদ্দিন পক্ষের সমর আলীকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যায়। ঘটনার ২দিন পর সাদেক পক্ষের আলী আহম্মদ মারা যায়। ঘটনার ১৩দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাইদুল।   

 

সাইদুলের স্ত্রী সখিনা বেগম জানায়, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে আহত করেছে আলাউদ্দিন ও তার লোকজন। ১৩দিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে মারা গেছে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।  

 

সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সাইদুল ইসলাম ঢামেকে মারা গেছেন শুনেছি। খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর