বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ের ৩৩ মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায়

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২২  




সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।  এই সময়ের মধ্যে সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সোনারগাঁয়ের ৩৩ মন্ডপে লেগেছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি টিভি)। জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব  জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি মন্ডপে ক্যামেরা গুলো স্থাপন করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু ও জেলা জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মাষ্টার এই পুরো কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন। এ সময় লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষ থেকে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গত ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে, ২ অক্টোবর হয়েছে দেবীর সপ্তমীবিহিত। ৩ অক্টোবর হবে দেবীর মহাঅষ্টমীবিহিত, কুমারী পূজা, সন্ধি পূজা, ৪ অক্টোবর দেবীর নবমীবিহিত এবং ৫ অক্টোবর দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও দর্শন বিসর্জন এবং সন্ধ্যা আরত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পুরো এই আয়োজন সিসি টিভির ভিডিওর মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি মন্ডপে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরা গুলো ৩৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। মন্ডপ গুলোর সামনে লেখা ‘সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সৌজন্যে সম্পূর্ণ ভাবে সিসি ক্যামেরার আওতা ভুক্ত’ ব্যানার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যার ফলে অপরাধীরা অপরাধ করার পূর্বে অন্তত ১০ বার ভাববে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করি। আশা করি অন্যান্যবারের চেয়ে এবার আরো উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সবাই আনন্দমুখর পরিবেশে, উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করবে, এটাই আমরা চাই। পূজা উদযাপন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো শঙ্কা নেই। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে সোনারগাঁওয়ে। তারা সতর্ক আছে। সবাইকে আহ্বান করব গুজবে কান দেবেন না। কোনো কিছু নজরে এলে পুলিশের কাছে জানাবেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি বলেন, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে থাকছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি। প্রতিটি পূজামণ্ডপে করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা লাগনোর ব্যবস্থা। প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা-ব্যবস্থা থাকবে। এসময় পুলিশ সদস্যরা, পূজা উদযাপন কমিটি, গণমাধ্যমকর্মীরা ও জাতীয় যুব সংহতি নেতা মাইনুল ইসলাম মামুন, আরিফুর রহমান আরিফ, মোঃ সবুজ  উপস্থিত ছিলেন।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর