বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

স্বপ্ন পূরণের পুরস্কার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 

# বারভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলায় কমন রুম, সাইবার ক্যাফে, লাইব্রেরী করবো : এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল
# দুই কোর্ট একসাথে রাখার ব্যাপারটি নিয়ে জোরালোভাবে কাজ করবো : এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া

 

 

এই তো বেশি দিন আগের কথা নয়। স্থান সংকুলানের কারণে আইনজীবীদের রোদ-বৃষ্টি ঝড়ের সাথে লড়াই করে মামলা-মোকাদ্দমা পরিচালনা করতে হতো। লার্নেটদের এমন ভোগান্তি সাধারণ মানুষদের মনেও নানা প্রশ্নের উদ্রেক করতো। এরপর এক আইনজীবী নেতার স্বপ্ন দেখা এবং তার বাস্তবায়ন আইনজীবী তো বটেই নারায়ণগঞ্জের মানুষকেও বিস্মিত করেছে। স্বপ্ন দেখা এবং তার বাস্তবায়নে দল-মত নির্বিশেষে যে মানুষের মন জয় করা যায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বার ভবন নির্মাণের ঘটনায়। সম্প্রতি ডিজিটাল এই বার ভবনের নামকরণ করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান ডিজিটাল বার ভবন।

 

এই বারভবন নির্মাণের পেছনে আর্থিক সহযোগিতার প্রায় পুরোটাই এসেছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের হাত দিয়ে। আর এসব বিবেচনায় আইনজীবীরাও দল-মত নির্বিশেষে অতীতের কাজের মূল্যায়ন করে পুরস্কৃত করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৭টি পদের ১৬টিতে এই প্যানেলকে জয়ী করেছে আইনজীবীরা। তবে আইনজীবীদের ঠিকঠাকভাবে খেয়াল রাখা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকার দরুণ আবারো এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েলকে সভাপতি এবং এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেছেন তারা। এই নিয়ে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল চতুর্থবারের মতো আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন।

 

মজার বিষয় হলো, ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারপাশে ছায়ার মতো ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। তাদের এই কৃতিত্বে আইনজীবীরা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির (২০২৩-২৪) কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে রেকর্ড পরিমাণ ভোট দিয়ে তাদের জয়ী করেছেন। সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে ১১৫১ জন ভোটারের মধ্যে ১০৮২ জন ভোট দিয়েছেন।

 

যার মধ্যে সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল ৭৮৭ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া পেয়েছেন ৭৩৫ ভোট। এই দুইজনের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কোন পাত্তাই পাননি। এই বিশাল জয়ের ব্যাপারে তাদের আইনজীবীদের নিয়ে অতীত কর্মকাণ্ডকেই ট্রাম্পকার্ড বলে মানছেন আইনজীবীরা। আর আইনজীবীদের এমন ভালোবাসায় আবেগ আপ্লুত জুয়েল- মোহসীন দু’জনই। জয় তো আশা করেছিলেন, তবে আইনজীবীদের এমন সমর্থনে তারা তাদের সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হওয়া এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল যুগের চিন্তাকে তার অভিব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, আইনজীবীরা আমার উপর যেভাবে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি ২০১৫ সালে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যখন দায়িত্ব পাই তখন থেকে আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করতে প্ল্যান নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলাম। পরবর্তীতে আমি যে স্বপ্নটি দেখেছিলাম তা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পেলাম।

 

আমাদের সকলের প্রিয় সাংসদ সেলিম ওসমানের সহযোগিতায় আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের যে কষ্ট সেটি লাঘব হলো। আটতলা বিশিষ্ট যে ডিজিটাল বার ভবন তৈরির স্বপ্ন আমরা দেখলাম তা বাস্তবায়নে তিনি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক আইনজীবীদের সঙ্গ দিলেন। আইনজীবীরা তার প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ। বর্তমানে  এই ডিজিটাল বার ভবনের তিনতলা ও চারতলার কাজ চলছে। এই দুটি তলায় মেয়ে আইনজীবীদের কমন রুম, সাইবার ক্যাফে, লাইব্রেরী করতে হবে। আমি এবার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।

 

ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী হওয়া এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া। তিনি যুগের চিন্তাকে তার অভিব্যক্তি জানিয়ে বলেন, আমি কাজ করেছি, তাই আইনজীবীরা আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আইনজীবী সমিতির সম্মানিত সদস্যদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন যে কারণে আইনজীবী সমিতি ভবনটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

এই ভবনের কারণে আইনজীবীরা আমাকে আরো বেশি করে মূল্যায়িত করেছেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ, যুবলীগের নেতৃবৃন্দ যারা আমাদের মানসিক সাপোর্ট দিয়েছেন আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। এখন আমাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করা। এর পাশাপাশি দুই কোর্ট একসাথে রাখার ব্যাপারটি দ্রুত সমাধান করা আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। এই ব্যাপারে সাংসদ শামীম ওসমান মহোদয় অনেক চেষ্টা করছেন। আমরাও দায়িত্ব নিয়ে এই ব্যাপারটিতে আরো জোরালো ভূমিকা নিয়ে কাজ শুরু করবো।

এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর