মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

হংকংয়ের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা আইন চীনের পার্লামেন্টে অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০  

চীনের পার্লামেন্ট হংকংয়ের জন্য প্রস্তাবিত বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অনুমোদন দিয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এই আইন হংকংয়ের স্বায়ত্ত্বশাসন ও স্বাধীনতা হরণ করবে।


বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের জাতীয় পিপল’স কংগ্রেসে প্রস্তাবিত আইনটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন প্রায় সকল পার্লামেন্ট সদস্য। এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৮৭৮ জন ও বিপক্ষে দিয়েছেন মাত্র একজন। এই সিদ্ধান্ত হংকংয়ের উপর রাষ্ট্রদ্রোহীতা-বিরোধী আইনটি সরাসরি আরোপের পথ সুগম করে দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান ও আল জাজিরা।


খবরে বলা হয়, গত বছর হংকংয়ে চীনের প্রভাবের বিরুদ্ধে ও অধিকতর গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ করে লাখ লাখ মানুষ। ওইসব বিক্ষোভকারীদের টার্গেট করেই নতুন আইনটি তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায়, চীনের জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে এমন সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হবে হংকংয়ে।


বৃহস্পতিবারের ভোটে আইনটি পাসের পথ সুগম হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই একটি চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করে পাস করা হতে পারে। চীনের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার হংকংবাসী। শহরটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে দেখা গেছে উদ্বেগ।


হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আইনপ্রণেতা ক্লডিয়া মো  বলেন, এটা নিশ্চিতভাবেই হংকংয়ের জন্য নতুন ও দুঃখের একটি অধ্যায়ের শুরু। আমরা হংকংকে চিনি তা মরে গেছে। এদিকে, আইনটি ঘিরে শহরে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার দাঙ্গা পুলিশ অন্তত ৩৬০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।


তবে সমালোচকরা জানান, এই আইন ব্যবহার করে কেবল বিক্ষোভকারী নয়, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির আওতায় চীন থেকে হংকং যে স্বায়ত্ত্বশাসন উপভোগ করে তাও হরণ করা হবে।


এদিকে, বুধবার হংকংকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল স্বাধীন ও প্রগতিশীল হংকং কর্তৃত্ববাদী চীনের জন্য একটি আদর্শ শহর হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু, এখন এটা স্পষ্ট যে, হংকংকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছে চীন।

 

এই বিভাগের আরো খবর