শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

হজ্ব নিয়ে বহু মানুষের সাথে হাদীর প্রতারণা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৩  



তিনি পবিত্র হজ্জে লোক পাঠান। তার নাম আবদুল হাদী। থাকেন গাবতলীর মৃত আবুল কাশেমের বাড়িতে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তিনি নানা ভাবে হজ্জে নেয়ার কথা বলে সরল সহজ ধর্মপ্রান মানুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আত্নসাৎ করেছেন বহু মানুষের টাকা।

 

 

এমনকি পাওনা টাকা ফেরৎ দিতে গিয়ে তিনি মাসদাইরের আবদুল মান্নান নামক একজনকে দুই লাখ টাকার চেক দিয়েছেন। কিন্তু সেই চেক আর পাশ হয়নি। ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। ফতুল্লা থানা এলাকার আবু তালিব গাজী জানিয়েছেন তিনিও এই হাদীর কাছে হজ্জের টাকা জমা দিয়ে প্রতারনার শিকার হয়েছেন।

 

 

এর আগে পুলিশের একজন সদস্যও তার কাছে হজ্জ করতে যাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে প্রতারনার শিকার হয়ে তাকে বাসায় গিয়ে মারধোর করেছিলেন। সর্বশেষ পূর্ব ইসদাইরের ইসমাইল বেপারী সহ নীরিহ ব্যাক্তিদের কাছ থেকে বিশ জনকে ওমরা পালন করতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আটাশ লাখ নব্বই হাজার টাকা নিয়েছেন।

 

 

কিন্তু টাকা নেয়ার পর তাদের সাথেও প্রতারনা করেন। চুক্তি মোতাবেক বিশজন ওমরা যাত্রীর বিমান ভাড়া, হোটেল খরচ এবং থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করার কথা, হাদী এবং তার সহযোগী ট্রাবেল এজেন্সির মালিক আলী আশরাফ দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু শুরু থেকে তারা এসব চুক্তি ভঙ্গ করেন এবং সৌদী আরব যাওয়ার পর ওমরা পালকারীদেরকে চরম বিপাকে ফেলেন।

 

 

সৌদী যাওয়ার পর তারা এই বিশজন ওমরা পালরকারীর কোনো খোঁজ খবর রাখেননি। তারা হোটেল বিল এবং খাবার বিল পরিশোধ করেননি। এমনকি তাদেরকে ভুয়া রিটার্ন টিকেট দেয়া হয়েছিলো। পরে তারা ভয়ানক বিপদে পতিত হন এবং দেশ থেকে টাকা নিয়ে হোটেল বিল এবং খাবার বিল পরিশোধ করে দেশে ফিরেন।

 

 

পরে দেশে ফিরে তারা হাদীকে চাঁপ দিলে হাদী তাদেরকে সাত লাখ বিশ হাজার টাকা ফেরৎ দেয়া হবে বলে মিমাংসা হয়। কিন্তু প্রতারক হাদী এই টাকা দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে এবং এক পর্যায়ে টাকা দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু হাদী এই টাকা ফেরৎ দেয়ার স্বীকারোক্তিমূলক ভয়েজ রেকর্ডিং রয়েছে।

 

 

কিন্তু কোনো মতেই পাওনা টাকা ফেরৎ না পেয়ে ইসমাইল বেপারী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখন ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। তবে হাদী ডিবি পুলিশের এই তদন্তকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে পরিস্কার করেই বলছে ডিবি পুলিশ নাকি তার পকেটে।

 

 

সে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরৎ না দিয়ে এই টাকা পুলিশকে দেবে বলে ঘোষনা দেয় এবং নীরিহ ইসমাইল বেপারী সহ পাওনাদারদের উল্টো পুলিশ দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দেন। তাই ভূক্তভোগীরা অনেকে মনে করেন মূলত পুলিশের সহায়তায়ই তিনি এভাবে অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ যথাযথ ভাবে তদন্ত করলে এই রিপোর্টেও সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেন। এন. হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর