শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হরিশচন্দ্রের মাঘী পূর্ণিমার দিঘী রহস্য

করীম রেজা

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা। মাঘ মাসের পূর্ণিমাকে বলা হয় মাঘী পূর্ণিমা । খনার বচনে রয়েছে, "যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পূণ্যি দেশ"। মাঘ বাংলা মাসের দশম মাস। এই মাসের আরেক নাম মাঘা।  বাংলা মাঘ এবং শকাব্দের "মাঘা" নামটি এসেছে মঘা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে।

 

 

মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়। এই মাসে ব্রাহ্ম সমাজের মাঘোৎসব পালিত হয়।  মাঘ মাসের পূর্ণিমা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ মাঘী পূর্ণিমায় নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। কুম্ভমেলার স্নানের সঙ্গেও এই পূর্ণিমার যোগ আছে। তাছাড়া হিন্দু শাস্ত্রমতে নদীর সংযোগস্থলে মাঘী পূর্ণিমা লগ্নে স্নানে অধিকতর পূন্য লাভ হয়।

 

 

মাঘী পূর্ণিমা বৌদ্ধদেরও একটি ধর্মীয় উৎসব। অপশক্তি মার-এর প্ররোচনায় শেষ পর্যন্ত এদিন বুদ্ধদেব তাঁর পরিনির্বাণের কথা ঘোষণা করেন। কথিত আছে যে, বুদ্ধের এরূপ সংকল্প গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ ভীষণ ভূকম্পন শুরু হয়। তথাগতের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্ব লাভকালে জগৎ এমনিভাবে আলোড়িত হয়।

 

 

বাংলাদেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ জনপদে, বিশেষ করে চট্টগ্রামের বৌদ্ধ অধ্যুষিত গ্রাম ও বিহারগুলিতে মেলার আয়োজন করা হয়। এরূপ উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মেলা হলো ঠেগরপুনি গ্রামের বুড়া গোঁসাই মেলা (পটিয়া), বিনাজুরি গ্রামের পরিনির্বাণ মেলা (রাউজান), লাটিছড়ি গ্রামের বুদ্ধ মেলা (রাউজান), আবদুল্লাহপুর গ্রামের শাক্যমুনী মেলা (হাটহাজারি), আর্যমিত্র মহাপরিনির্বাণ মেলা (রাউজান) প্রভৃতি।

 

 

কিন্তু কোথাও মাঘী পূর্ণিমার দিঘীর মেলার কথা উল্লেখ নেই। বিস্ময়ের উদ্রেক করে বিক্রমপুরের মাঘী পূর্ণিমার দিঘী সম্পর্কে গুগল বা নেট মাধ্যমে তথ্যের অভাবও। ইতিহাসের সত্য অনেক ক্ষেত্রেই কিংবদন্তীর আড়ালে ঢাকা থাকে। গবেষকগণ তা উদ্ধার ও প্রচার করেন।

 

 

আবার কিছু উপাখ্যান বা কিংবদন্তী কখনই ইতিহাসের সত্য নয় কিন্তু মানুষের মুখে মুখে তা এমনভাবে প্রচারিত হয়, যেন তা ইতিহাসের গল্প। হরিশচন্দ্রের দান সম্পর্কে পুরানে এবং অঞ্চল বিশেষে নানা রকম গল্প-উপাখ্যান পাওয়া যায়।

 

 

হরিশচন্দ্রের দীঘি নামে মুন্সীগঞ্জ জেলার রামপালে অবস্থিত একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আছে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন দীঘির একটি। স্থানীয়ভাবে দীঘিটি মাঘী পূর্ণিমরা দীঘি নামেও পরিচিত। জনশ্রুতি অনুসারে, এ অঞ্চলে দীঘিটি খনন করেছিলেন রাজা হরিশচন্দ্র।

 

 

সম্ভবত দুজন হরিশচন্দ্রের নাম পাওয়া যায় ইতিহাস ও কিংবদন্তী মিলিয়ে। একজন অযোধ্যার রাজা ছিলেন। আরেকজন ছিলেন সাভার অঞ্চলে, যার রাজ্য সীমানা রংপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল বলে মনে করা হয়।

 

 

দীঘিটি কে খনন করেছিলেন সে সম্পর্কে ইতিহাসবিদগণ সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি। তবে মনে করা হয় রাজা হরিশচন্দ্রের শাসনামলেই দীঘিটি খনন করা হয়েছিল। অযোধ্যার হরিশচন্দ্রের সঙ্গে এই দিঘীর যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা নাই।

 

 

অপর হরিশচন্দ্র রাজার ইতিহাস সম্পর্কে উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, ১০৯১ থেকে ১১০৩ পর্যন্ত পাল বংশীয় রাজা শূরপালের ভাই রামপাল বিক্রমপুর অঞ্চল শাসন করেন। সেসময় তার নামানুসারে রামপাল গ্রামের নামকরণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

 

 

পাল বংশের রাজাগণ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ছিলেন তবে তাদের মধ্যে হরিশচন্দ্র রাজার রাজত্ব রংপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ও তিনি সাভারের কাঁঠালবাড়ী থেকে তার রাজ্য পরিচালনা করতেন বলে মনে করা হয়।

 

 

এই সূত্রে জেনে নিই নীলফামারিতে হরিশচন্দ্র কিভাবে পরিচিত। বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম হরিশচন্দ্র পাঠ। মনে করা হয় সেখানকার রাজা হরিশচন্দ্রের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ। রাজা হরিশচন্দ্র দানবীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

 

এ অঞ্চলে তাকে নিয়ে অনেক পালাগান, যাত্রাপালা রচিত হয়েছে। কথিত আছে রাজা হরিশ্চন্দ্রের কন্যা অধুনা’র সাথে রাজা গোপী চন্দ্রের বিয়ে হয়। তৎকালীন প্রথা অনুসারে গোপী চন্দ্র দান হিসেবে তার ছোট শ্যালিকা পদুনাকেও পান। এ নিয়েও অনেক গল্প প্রচলিত আছে।

 

 

হরিশচন্দ্র পাঠ গ্রামে অনেক প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ আজও তার স্মৃতি বহন করছে। হরিশচন্দ্রের শিবমন্দিরে বছরে ৩টি উৎসব বেশ ধুমধাম করে পালিত হয়। দানবীর হিসাবে অযোধ্যার হরিশচন্দ্রের সঙ্গে এখানে সাদৃশ্য আছে।

 

 

তাছাড়া হরিশচন্দ্র পাঠ গ্রামে একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন স্থান রয়েছে। জায়গাটি দেখতে একটি মাটির স্তর। প্রাথমিক অবস্থায় এ মাটির স্তরটি ৫০-৬০ ফুট উপরে ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে এর উচ্চতা কমে বর্তমানে ১০ ফুট এসেছে। এই স্থানটিতে রাজা হরিশচন্দ্র একটি শিবমন্দির নির্মাণ করছিলেন, কিন্তু তার মৃত্যুতে মন্দিরের কাজ তিনি সমাপ্ত করতে পারেননি।

 

 

এ জায়গাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ইট বা পাথর। কথিত আছে, মন্দির কিংবা তার আশপাশের এক টুকরো মাটি, ইট বা পাথর কেউ স্পর্শ করতে পারে না।  কারণ কোন ব্যক্তি ইট বা পাথর নিয়ে গেলে, তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত উঠে এবং মারা যায়। প্রাথমিক অবস্থায় বেশ কিছু বিষ্ণুমূর্তিসহ অসংখ্য মূর্তি ছিল বলে জানা যায়।

 

 

ব্রিটিশ সরকারের আমলে খনন কাজে ১২৫ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছিলেন দেশি- বিদেশি বৈজ্ঞানিক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য। খনন কাজের তৃতীয় দিন তারা একটি দরজার মুখ দেখতে পান। খুঁজে পাওয়া মন্দিরের দরজা দিয়ে কর্মরত ৮ ব্যক্তি ভিতরে প্রবেশ করে। কিন্তু তারা ভিতরে ঢুকতেই মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যায়।

 

 

এতে খননকারী দল ঘাবড়ে যায় এবং পরের দিন খননের কাজ বন্ধ করে চলে যায়। সেই ৮ জন ব্যক্তির ভাগ্যে কি ঘটেছিল, তা আজও জানা যায়নি। তারপর থেকে এ মন্দিরের আর কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি।

 

 

হরিশচন্দ্র রাজার রাজধানী ছিল ঢাকার অদূরে সাভারে। প্রত্নস্থলটি রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে সাভার উপজেলার অন্তর্গত সাভার পৌরসভার মজিদপুরে (সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড হতে পূর্ব দিকে) অবস্থিত। সেখানের রাজা হরিশচন্দ্রের রাজবাড়ি বা ঢিবি ঊনিশ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল।

 

 

স্থানীয় লোকজন মাটিচাপা এই স্থানটিকে রাজবাড়ি ঢিবি হিসেবে চিহ্নিত করত। ১৯১৮ সালের দিকে রাজবাড়ি-ঢিবির কাছাকাছি গ্রাম রাজাসনে ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী এক প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ পরিচালনা করেন। এই খননকাজের ফলে আবিষ্কৃত হয় বৌদ্ধদের ধর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু প্রত্নবস্তু ও গুপ্ত রাজবংশের অনুকৃত মুদ্রাস্মারক। এতে সেখানকার বৌদ্ধ মূর্তির পরিচয় পাওয়া যায়। এরই সূত্র ধরে ১৯৯০-১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে হরিশচন্দ্র রাজার প্রাসাদ-ঢিবিতে খননকাজ চালানো হয়।

 

 

উক্ত ঢিবি উৎখননের ফলে এখানে বৌদ্ধ বিহারের ভগ্নপ্রায় অবকাঠামো, বিভিন্ন সময়ের স্বর্ণ-রৌপ্য মুদ্রা, ব্রোঞ্জের মূর্তি পাওয়া গেছে। এছাড়াও পাওয়া গেছে নানা ধরনের নিদর্শন।

 

 

যেমন ধূতি পরিহিত, কিরিট মুকুট, চুড়ি, হার, কোমরবন্ধ ও বাজুবন্ধ সজ্জিত লোকেশ্বর-বিষ্ণু মূর্তি, পদ্মপানি, ধ্যানী বুদ্ধ, অবলোকিতেশ্বর ও প্রজ্ঞা পারমিতা প্রভৃতি ভাস্কর্য নিদর্শন এখান থেকে পাওয়া গেছে। বর্তমানে এসব নিদর্শন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

 

 

কিংবদন্তী অনুসারে, এ দীঘিটিকে ঘিরে অনেক গল্প প্রচলিত। একসময় প্রতি বছর এখানে মাঘী পূর্ণিমাতে মেলার আয়োজন করা হত। মেলায় আগত অনেক লোকই বিশ্বাস করে, এ দীঘিটিতে কোন অলৌকিক শক্তি রয়েছে। এমন বিশ্বাস থেকে আগতরা বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে দীঘিটির পূজা করে থাকে।

 

 

জনশ্রুতি অনুসারে, ব্রিটিশ শাসনামলে এ দীঘির পানি সম্পূর্ণ সেচার জন্য বেশ কিছুদিন চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অনেক চেষ্টার পর পানি না কমায় সে চেষ্টা বন্ধ করে দেয়া হয় ।

 

 

এই রকম রহস্যময় দিঘীর বিষয়ে যথাযথ কোনও গবেষণা আজও হয়নি। তাছাড়া ১০/১৫ বছর আগে পর্যন্ত পুরো দিঘীর জায়গাটি সারা বছর শুকনো থাকত। একমাত্র মাঘী পূর্ণিমার সময়ই সারা মাঠ পানিতে ডুবে যেত,ঘাসের দাম ভেসে উঠত। দর্শকদের অনেকেই সেই দামে নামত। ঘাসের দাম থেকে মৌরি গাছ খুঁজে নিত।

 

 

জানা যায় বছরের অন্য কোনও সময় সেই ঘাসের মধ্যে মৌরি ঘাস পাওয়া যেত না। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধকার মাঘী পূর্ণিমার আগে এবং পরে তা চাক্ষুষ করেন। রহস্যময়তার কারণ জানা না গেলেও মাঘী পূর্ণিমার দিঘীতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষজন এসে ভীড় করতেন।

 

 

আশেপাশের স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়া হত এই উপলক্ষে। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকসহ বহু সাধারন মানুষ আসত এই রহস্য দেখতে। বিভিন্ন দুতাবাসের কর্মকর্তারা আসতেন যা, নিবন্ধকার স্বয়ং দেখেছেন ছাত্রাবস্থায়। তাছাড়া এই মাঘী পূর্ণিমার দিঘীর অবস্থান বিবেচনা করলেও এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়।

 

 

ইতিহাস খ্যাত রাজা বল্লাল সেনের রাজবাড়ি থেকে এই দিঘীর দূরত্ব বড়জোড় এক কিলোমিটার, অন্যদিকে বিখ্যাত রামপালের দিঘী হতে আধা কিলো মিটারের মত দূরত্বে এর অবস্থান। যদি বল্লাল সেনের দিঘী কেন্দ্র ধরে আশপাশের চারপাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রত্ন স্থাপনাগুলোর তালিকা করা হয়, তা থেকেও মাঘী পূর্ণিমা দিঘীর প্রত্নমূল্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

 

 

যেমন উত্তর দিকে রামপালের দিঘী আমরা আগেই বলেছি, দিঘীর পাশ দিয়ে গেছে বল্লাল সেনের কাচকি দরজা নামের রাস্তা। রাস্তার পাশে রামপাল স্কুলের মাঠের কোনায় আছে একটি তেতুল ও বট গাছ, সমতল থেকে একটু উপরে, যে গাছের গোড়ার মাটি এখনও নোনতা স্বাদের।

 

 

বল্লাল রাজার বাড়ির আরেকটু উত্তরে আছে বাবা আদমের দরগা। পঞ্চসায়র বা পঞ্চসার উত্তর পূব কোনায়। পূবদিকে এখনও যথেষ্ট অনুসন্ধান বাকি। পশ্চিমে আছে নাটেশ্বর বৌদ্ধ প্রত্নস্থাপনা। উত্তর-পশ্চিমে কাজীকসবা গ্রামের দেউল বাড়িতে পত্নবস্তু খুঁজে পাওয়া গেছে, যা বর্তমানে জাতীয় জাদুঘওে সংরক্ষিত।

 

 

দক্ষিণে রঘুরামপুর বৌদ্ধবিহার যার দূরত্ব মাঘী পূর্ণিমার দিঘী থেকে সিকি মাইলেরও কম। আরেকটু দক্ষিণে গেলেই বজ্রযোগিনী গ্রামের পন্ডিতের ভিটা বা অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান।

 

 

বিগত দেড়/দুই দশক আগে একজন উচ্চাভিলাসী জেলা প্রশাসক স্থানীয় রামপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহায়তায় দিঘীটি খনন করে মাছ চাষের উদ্দেশ্যে। সেই জেলা প্রশাসকের বর্তমান হাল জানা না গেলেও, কয়েক বৎসর আগে চেয়ারম্যান সাহেব দীর্ঘদিন রোগ ভোগে মারা যায়।

 

 

ইউনিয়নের বাসিন্দা অহিদুল হোসেন গরম জানান,তার নিজের এবং স্থানীয় লোকজনের ধারণা এটা রহস্যময় দিঘী খননের করুণ পরিণতি। এখন আর আগের মত মেলার আয়োজন হয় না। শুকনো মাঠ নাই তাই পূর্ণিমার জোয়ারের পানির আসা যাওয়া তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায় না।

 

 

তবে এলাকার জনমনে প্রত্ন সম্পদের প্রতি সচেতনতা তৈরি হওয়ার কারণে রহস্য জানার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। মাঘী পূর্ণিমার দিঘী তার আগের অবস্থা ফিরে পেলে সবাই খুশি হবে। তবে প্রশ্নও আছে,আদৌ তা ফিরবে কি? এন.হুসেইন/জেসি