শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হাটে গরু আছে ক্রেতা নেই

লিমন দেওয়ান

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২২  

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের কোরবানীর পশু হাটে আসা শুরু করেছে। নদী ও সড়কপথে করে এই গরুগুলো বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শুরু করেছে। এতে জমজমাট হচ্ছে হাটগুলো। হাটগুলোতে মানুষের আসা যাওয়া বাড়ছে। ঈদুল আযহার আর মাত্র ৪ দিন বাকি এই সময়েই অনেকেই গরু কিনছেন। 

 

তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৪টি হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাটেগুলোতে গুরে দেখা গেলো এখন ও পর্যন্ত হাটগুলোতে গরু বিক্রির সংখ্যা প্রায় কম। তবে গরুর ব্যাপারীরা মনে করছেন দুই এক দিনের মধ্যেই হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠবে। নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার হাটগুলো হল, গোগনগর ইউনিয়নের বাড়িরটেক সংলগ্ন মাদবর বাড়ির পশ্চিম পাড় দেলোয়ার হোসেনের নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট গোগনগর ইউনিয়নে বাদশা মিয়ার অস্থায়ী পশুর হাট,

 

গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশ্বে মহিউদ্দিনের নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, আলীরটেক আমান মার্কেট সংলগ্ন খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট, বক্তাবলী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামে অস্থায়ী পশুর হাট, কাশিপুর ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ খালি মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট, কুতুবপুর ইউনিয়নের পাগলা তালতলা সংলগ্ন প্যারাডাইজ সিটি মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট, ফতুল্লা স্টেডিয়ামের লিংক রোডের পূর্ব পাশের মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট,

 

গোগনগন ইউনিয়ন ‘স’ মিল সংলগ্ন আলী আকবর বেপারীর নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, এনায়েত নগর ইউনিয়নে ধর্মগঞ্জ গুদারাঘাট সংলগ্ন খালি মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট, কুতুবপুর ইউনিয়নে আলীগঞ্জ ধোপাতিতা মৌজায় খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট, কুতুবপুর ইউনিয়নের ভূইগড় এলাকার কবির হোসেনর নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী পশুর হাট, কুতুবপুর ইউনিয়নের শান্তিধারা এলাকায় হাজী আব্দুল রাজ্জাক বেপারীর মার্কেট সংলগ্ন খালি মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট। 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলে গতবারের থেকে এবার গরুর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। সব হাটগুলোতে কোরবানির পশু উঠা শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমানে গরু হাটে আসেনি। এখনো অনেকগুলো হাট ফাকা রয়েছে। হাটগুলোর ইজারাদাররা বলছেন প্রতিদিনই  আমাদের হাটে গরু আসছে এখনো আরো দিন বাকি আছে। আরো গরু আসবে। 

 

তারা অভিযোগ করেন নদীপথে গরু আসার কারণে বিভিন্ন সময় তাদের চাঁদাবাজদের কবলে পরতে হচ্ছে এবং তারা চাঁদা না দিতে চাইলে তাদেরকে মারধর পর্যন্ত করা হচ্ছে। আর এখন হাটে ক্রেতাদের সংখ্যা কম। দুই একদিনের মধ্যে ক্রেতাদের চাপ পরবে হাটগুলোতে। 


এ বিষয়ে হাটখোলা স্কুল মাঠের সিরাজগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যাপারী জানান, আমি প্রতিবছরেই সিরাজগঞ্জ থেকে গরু এনে এই হাটে বিক্রি করি। এবার ও আমি ১৫টি গরু এনেছি। আর বিগত বছরগুলো থেকে এই বছর গরুর দাম একটু বেশি এর কারণ হচ্ছে আমরা গরুর খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ আসা যাওয়ার ভাড়া ও এই বার অনেক বেশি। এই কারণে আমাদের এইবার বাধ্য হয়ে বেশি দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন হাটে জনবল অনেক কম। এখনো হাটে আমরা ক্রেতাদের তেমন ভিড় দেখতি পারছি না। আশা করছি ২ /১ দিনের মধ্যেই হাটে ব্যাপক আকারে ক্রেতাদের দেখা মিলবে।লিমন দেওয়ান ।এসএম/জেসি 

এই বিভাগের আরো খবর