শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

হারিয়ে গেছেন তারা !

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২১  

বিভিন্ন সভা সেমিনারে অনেকেই বড় বড় কথা বলে থাকেন। মঞ্চের সামনে বসা মানুষগুলোকে তারা শোনায় আশার বানী। দেখান হরেক রকম লাল নীল স্বপ্ন। তবে সাধারণ মানুষগুলোর দুঃখে কষ্টে তাদের তেমন একটা দেখা যায়না বল্লেই চলে। অপরদিকে ইউপি নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দেখা যায় তাদের তৎপরতা। অনেকে সাজেন বড় বড় সমাজ সেবক। করোনাকালীন সময়ে তেমনই অবস্থা দেখা দিয়েছে ফতুল্লায়।

 

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ বাদল,সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি ও এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ লিটন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর মধ্যে বেশ কয়েকজন নিজ নিজ এলাকায়  গেল বছর মানুষের পাশে কিছুটা দাড়িয়েছিলেন। সেই সময়  বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছা সেবক থেকে শুরু করে বেশ কিছু বিত্তবানরাও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলেন।

 

তবে এবারের করোনাকালীন সময়ে ফতুল্লা থানা এলাকার আওয়ামীলীগ নেতাদের অসহায়দের পাশে দাড়াতে দেখা যায়নি। অপরদিকে বিত্তবানরাও চুপসে গেছে। অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ফতুল্লায় সরকার দলের নেতারা হারিয়ে গেছেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের পদে অনেকের ঠাঁই হয়েছে,এছাড়াও ইউপি নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কেউ আসছেন না বলেও অনেকে মনে করেন। ফতুল্লায় নেতারা হারিয়ে গেছেন বলেও মন্তব্য অনেকের।  ২০২০ সালের মাচ মাসে নারায়ণগঞ্জে করোনা রোগী সনাক্ত হয়। এরপর থেকেই দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে সারা দেশে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়। সেই সময়  দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানা এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের পাশপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,যে যার মতো করে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িছেন। কিন্তু এবার একাধারে কয়েকবার লক ডাউন শুরু হলেও নেতাদের দেখা যায়নি কোথাও।

 

গত বৃহস্পতিবার সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও শাট ডাউন দেয়া হয়। এতে করে নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠে।  গত কয়েকদিকে ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের নি¤œবিত্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে কাউকে ত্রাণ সহায়তা  দিতে দেখা যায়নি। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সাইফ উল্লাহ বাদল। এছাড়াও তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিনি বা তাঁর অধিনস্ত কর্মীরা তার ইউনিয়নে ত্রাণ দিয়েছে বলেও কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।  

 

অপরদিকে বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীও তার ইউনিয়নে বসবাসরত অসহায় মানুষের পাশে দাড়াননি। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহম্মেদ লিটন, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুজ্জামানসহ অনেক হেভি ওয়েট নেতাদেরও একই অবস্থা।  ফতুল্লার একজন আওয়ামীলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের কমিটি হওয়ার আগে অনেক নেতা নিজেকে হাইলাইটস করার জন্য লোক দেখানো সাহায্য সহযোগীতা মানুষকে করেছেন।

 

এছাড়াও আগামী ইউপি নির্বাচনে অনেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারেও নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে জাহির করতেও ফটোসেশনের মাধ্যমে কিছু সাহায্য সহযোগীতা করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত এবার শাট ডাউনে ফতুল্লার অনেক হেভিওয়েট  নেতা নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন।  এর একমাত্র কারন, থানা আওয়ামীলীগের কমিটিতে অনেকের জায়গা হয়েছে। অপরদিকে ইউপি নির্বাচন খুব শীঘ্র হওয়ার কোনো লক্ষণ  নেই।  শাট ডাউনে এখন মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা কোনো উপলক্ষ্য না থাকলে করা ঠিক হবেনা বলেও অনেকে চুপসে গেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।     

এই বিভাগের আরো খবর