মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

হোমিওপ্যাথিতে জলবসন্তের প্রতিকার ও প্রতিষেধক

প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

বসন্ত দুই ধরণের- জলবসন্ত  (Chicken pox)  ও গুটি বসন্ত (Small pox)। এ দুটির মধ্যে গুটি বসন্তই মারাত্মক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WTO) মতে, আশির দশকেই গুটি বসন্ত পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

 

জলবসন্ত : সাধারণত শীতকালের শেষের দিকে এবং বসন্তকালে জলবসন্ত রোগের প্রকোপ বেশি থাকে। এই রোগ বেশি   মারত্মক নয় এবং জীবননাশের আশংকা প্রায়ই নেই। তারপরেও ইহা খুব বেদনা ও যন্ত্রনাদায়ক রোগ। ভেরিসেলা জস্টার নামক এক প্রকার ভাইরাস এই রোগের জীবানু সৃষ্টি করে। ইহা বায়ুবাহিত ও ছোঁয়াচে রোগ।


বিশেষ করে জন্মের পর থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত জলবসন্তের ঝুঁকি বেশি থাকে। বড়দেরও এ রোগ হতে পারে। বড়দের হলে কষ্ট একটু বেশিই হয়। এ রোগ একবার হলে আর হয় না কারণ দেহে এ রোগের এন্টিবডি তৈরি হয়ে যায়।


 লক্ষণ : প্রথমদিকে জ্বর জ্বর ভাব, মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি ও দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। কিছুদিনের মধ্যে শরীরে ঘামাচিরমত দানা দানা লাল লাল গোটা দেখা দেয়। প্রথমে বুকে পিঠে বের হয়। তারপরে দানাগুলোর মধ্যে জল সঞ্চয় হয়ে ফোস্কার মত হয় ও পুজ হয় এবং শরীর চুলকায়। জ্বরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে দানাগুলোও বাড়তে থাকে।


যেভাবে ছড়ায় : এ রোগের জীবানু বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং ইহা ছোঁয়াচে রোগ। রোগির ব্যবহৃত জামা কাপড়,বিছানা চাদর এবং ব্যবহার্য অন্যান্য জিনিসপত্রের সংস্পর্সে জল বসন্তের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।


চিকিৎস : রোগ যতই মারাত্মক হোক না কেন ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এ রোগ ওষুধ ছাড়াই ৭থেকে ১০দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কারও কারও একটু বেশি সময় লাগতে পারে।


জলবসন্ত হওয়ার সাথে সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে হোমিও ওষুধ সেবন করলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে রোগী ভালো হয়ে যায় এবং জলবসন্তের দাগও দূর হয়ে যায়। হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের প্রতিষেধকও আছে। শীতের শেষে এবং বসন্তকালে মাঝে মাঝে হোমিও ওষুধ সেবন করলে এ রোগ হবে না। আপনার আশে পাশে কারও এ রোগ হলে রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি শিশুদের (জম্মের পর থেকে ১৪বছর বয়স পর্যন্ত ) হোমিও ওষুধ সেবন করালে এ রোগ তাদের হবে না।


ডা. জি এম খায়রুজ্জামান
মাবাইল : ০১৭৪৩ ৮৩ ৪৮ ১৬.
 

এই বিভাগের আরো খবর