বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হ্যাট্রিক জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাদল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২২  

# শত শত কোটির টাকার উন্নয়নের বদলের গেছে পুরো ওয়ার্ডের চিত্র

আসন্ন নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতীক বরাদ্ধের পর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে এলাকা। মাইকিংয়ে প্রচারণায় সরব এখন ৩ নম্বর ওয়ার্ড। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দিনে রাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন প্রার্থীরা। নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছে টানার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। ফলে ওয়ার্ডটিতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে ওয়ার্ডটিতে। বিগত ৫ বছরে শত শত কোটি টাকার কাঙ্খিত উন্নয়নের ফলে জনমনে বিরাজ করছে স্বস্তি। এ ওয়ার্ডে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় হ্যাট্রিক জয়ের দ্বার প্রান্তে রয়েছে দুই বারের নির্বাচিত সফল কাউন্সিলর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও বর্তমান সিটি নির্বাচনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহজালাল বাদল। কাঙ্খিত উন্নয়ন, নাগরিক সেবা, মাদক, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সফলতার কারণে পুনরায় শাহজালাল বাদলের প্রতিই আস্থা রাখছেন ওয়ার্ডবাসী। ফলে তৃতীয় বারের মত জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন সে। তবে, একটি কুচক্রী মহল নির্বাচনের উৎসবমূখর পরিবেশকে আশান্ত করতে পায়তারা করছে বলেও স্থানীয়রা জানায়।  



নির্বাচন কমিশন থেকে ঠেলাগাড়ী প্রতীক বরাদ্ধ পেয়ে প্রচার-প্রচারণা ও গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই বারের নির্বাচিত সফল কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে তোফায়েল হোসেন, রেডিও প্রতীক নিয়ে এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, লাঠিম প্রতীক নিয়ে আলমগীর হোসেন ও মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে ইরান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তবে, বিগত ১০ বছরে টানা উন্নয়ন কর্মকান্ড ও জনসম্পৃক্ততার কারণে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ঠেলাগাড়ী প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল। জনকল্যাণ ও জনসম্পৃক্ততা না থাকায় অন্যান্য প্রার্থীরা তেমন একটা আলোচনায় নেই। তাদের মধ্যে ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী তোফায়েল হোসেন এর আগেও দুইবার নির্বাচন করেছেন কিন্তু সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তারপরও সে হাল ছাড়েননি। এবারও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।



নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডটি একটি গুরুত্বপূর্ণ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নয়াআটি মুক্তিনগর, রসুলবাগ, আদর্শনগর, নূরবাগ, মাদানীনগর, নিমাইকাশারী, বাঘমারা ও সানারপাড় এলাকা নিয়ে নাসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডটি ঘটিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রবেশদ্বার এবং ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র হওয়ায় এ ওয়ার্ডটির গুরুত্ব অনেক বেশী। বিগত ১০ বছর টানা উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা সহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণে শাহজালাল বাদল জড়িত থাকায় দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তার বিকল্প শক্তিশালী কোন প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরী না হওয়ায় অনেকটাই ফুর ফুরে মেজাজে রয়েছে শাহজালাল বাদল। ইতিমধ্যে ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি মহল্লার নবীণ-প্রবীণ, নারী-পুরুষ ও যুবক-যুবতীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শাহজালাল বাদলের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।


শাহজালাল বাদল যুগের চিন্তাকে বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে আমার ওয়ার্ডের জনগনের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালে ওয়ার্ডবাসী আমাকে ভালবেসে টানা দুইবার তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। আমার ওয়ার্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা এবং আমার মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর আন্তরিক সহযোগিতায় ওয়ার্ডের উন্নয়নে ৩০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আমি আমার ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট-ড্রেনসহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ করেছি। বড় ধরণের আর কোন কাজ অবশিষ্ট নেই। যেসব কাজ অবশিষ্ট রয়েছে তা নির্বাচনের পরে হয়ে যাবে। করোনা মহামারীকালীন সময়ে প্রত্যেক অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে করোনার সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। সিটি কর্পোরেশন থেকে ত্রাণ সহযোগিতা, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল, নিজস্ব তহবিল, রিলিফ কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃদুগ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, মশক নিধন সহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা প্রধান করে ওয়ার্ডবাসীর দেয়া অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছি। এছাড়াও স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসার  উন্নয়নে কাজ করেছি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কর্মী নিয়োগ এবং রাতের বেলায় রাস্তার লাইটিং ব্যবস্থা করেছি। সমাজ থেকে মাদক, কিশোরগ্যাং ও সন্ত্রাস মুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি এলাকায় পঞ্চায়েত কমিটি ও মসজিদ কমিটি তৈরী করে সবাইকে নিয়ে কাজ করেছি। এখন আমার ওয়ার্ডে মাদকের দৌরত্ম্য অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, করোনা কালীন সময়ে উন্নয়ন কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল সেজন্য কিছু কিছু উন্নয়ন কাজ অবশিষ্ট রয়েছে। আমি যদি পুনরায় ওয়ার্ডবাসীর ভোটে নির্বাচিত হই তাহলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেগুলো বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ।
 

এই বিভাগের আরো খবর