শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

২৫নং ওয়ার্ডে নতুন হোল্ডিং সংযোজনে অনিয়ম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২২  


# দুই একশ টাকা নিল এটা ভিন্ন কথা: কবির


# অনেকে অনেক রকম কথা বলে, এটা সঠিক নয়: স্বপন



নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সিদ্ধিরগঞ্জ এবং কদমরসুল ওয়ার্ডের সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তি মালিকানা হোল্ডিং সমূহের কর নির্ধারণের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে জরিপ করার নির্দেশনা দিয়েছে। ২০২২-২০২৩ হতে ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরের জন্য এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই জরিপ কাজের জন্য সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমন্বয়ে ১৮ টি টিমে জরিপ কাজ চলছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

১০ আগষ্ট থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে এই জরিপ কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কর নির্ধারণ কাজে নিয়োজিত ১৬ নম্বর টিমের ২৫ নং ওয়ার্ডে নিয়োজিত কর্মকর্তারা নতুন হোল্ডিং সংযোজনের নামে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে অধিক পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

যদিও জরিপ চলাকালীন সময়ে হোল্ডিং নামজারী, হোল্ডিং বিভক্তির জন্য ফি আদায় করার নির্দেশ রয়েছে এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের। কিন্তু জরিপ চলাকালীন সময়ে নতুন হোল্ডিং সংযোজনে কোন রকম টাকা লাগার নির্দেশ নেই তারপরও নানা কারণ দেখিয়ে টাকা আদায় করছে।

 

 

 

 

 

 

 

 


তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিকের মাঠ পর্যায়ে জরিপ চলাকালে নতুন হোল্ডিং সংযোজন করতে কোনও রকম টাকা লাগে না। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত টিমের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নতুন হোল্ডিং সংযোজনের নামে টাকা আদায় করছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

কিন্তু পৈত্রিক সূত্রে সম্পত্তির মালিক যারা তাদের কোন রকম ফি বা টাকা নেয়ার নিয়ম না থাকলেও নির্দিষ্ট কোন কারণ না দেখিয়ে টাকা আদায় করছে ২৫নং ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত টিম। গ্রাহকরা নতুন হোল্ডিং সংযোজনে টাকা লাগার বিষয়টি জানতে চাইলে এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত টিমের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের নানা ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

এদিকে গ্রাহকরা টাকা দেয়ার পর জানতে পারছেন যে তাদের ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হয়েছে। ভাওতা দিয়ে টাকা নেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়,“এই মাসের প্রথম দিকে সিটি কর্পোরেশনের এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত কর্মীরা আমার বাসায় আসে। আমার বাসায় হোল্ডিং করা নাই তাই আমাকে হোল্ডিং করার পরামর্শ দেয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি হোল্ডিং করার সম্মতি জানিয়ে বলি কোন খরচ লাগবে নাকি। তারা বলেন নতুন হোল্ডিং করতে অফিসে তিন হাজার টাকা জমা দিতে হবে। বাকি টাকা কাগজপত্র করতে লাগবে, আরো অন্যান্য খরচ করতে লাগবে, মোট সাড়ে চার হাজার টাকা লাগবে। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে আমি যেটা জানতে পারছি যাদের বাপ দাদার সম্পদ তাদের হোল্ডিং করা না থাকলে নতুন ভাবে হোল্ডিং করতে টাকা লাগে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা নতুন আরেকজন থেকে জায়গা কিনে বাড়ি ঘর করছে তাদের টাকা লাগে। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আমার কেন টাকা লাগল? শেষ পর্যন্ত টাকার মাধ্যমেই আমার নতুন ভাবে হোল্ডিং করতে হল”। এলাকার আরেকজন ভুক্তভোগী জানায়, “আমাদের সাথে সিটি কর্পোরেশনের লোকদের প্রথম কথা হইছে, তখন হোল্ডিং নম্বর লাগানোর কথা বলেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা বলছিলাম আমরা হোল্ডিং নিব, তখন আমার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকার মত লাগবে জানায়। তারপর জানতে চাইলাম টাকা কেন লাগবে? তখন আমাকে বলে টাকা লাগবে সাড়ে তিন হাজার এই হোল্ডিং নম্বর করতে। আমাদের যা বুঝাইছে তাই বুঝতে হইছে আমার। সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগবে বলল, আবার এক হাজার টাকা বেশি কেন নিল, কোন যুক্তি দিল না”।

 

 

 

 

 

 

 


২৫নং ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত কর নির্ধারক কবির হোসেন জানায়, “টাকা নিচ্ছে এটা আমি বলতে পারব না। নতুন হোল্ডিং সংযোজনে টাকা লাগার কথা না। এখন দুই একশ টাকা নিল এটা ভিন্ন কথা”। এর থেকে অধিক পরিমাণে টাকা নিচ্ছে এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “তাহলে আমাকে আরও এলার্ট হতে হবে”।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

২৫নং ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত মাস্টাররুলে কর্মরত শহিদুল ইসলাম স্বপন জানায়, “নতুন হোল্ডিং সংযোজন করতে টাকা লাগে না”। নতুন যারা হোল্ডিং সংযোজন করেছে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অনেকে অনেক রকম কথা বলে, এটা সঠিক নয়। কোন রকম ফি ছাড়া আমরা অহরহ নতুন হোল্ডিং করছি”। ২৫নং ওয়ার্ডে এসেসমেন্ট কাজে নিয়োজিত ওয়ার্ড সচিব তরিকুল ইসলামকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেনি।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর