শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

অনিশ্চিত ফতুল্লার ইউপি নির্বাচন

শ্রাবণী আক্তার

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪  

 

# ৯০ দিন পার হলেও হয়নি নির্বাচন
# উন্নয়ন নিয়ে হতাশায় এলাকাবাসী

 

 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যে ফতুল্লা ইউনিয়ন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। শিল্প সমৃদ্ধির নগরী হিসেবে খ্যাত এই ফতুল্লা ইউনিয়ন। তারপরও ঢিলে ঢালা ভাবে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। বহু জল্পনা কল্পনা শেষে দীর্ঘ ৩০ বছর পর ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান পদে বসেন লুৎফর রহমান স্বপন। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর তা দুই বছরও স্থায়িত্ব হয়নি। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

 

এরপর ফের ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব ভার যায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হাতে। স্বপন চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর ৪ অক্টোবর ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন’র উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মো. নজরুল ইসলাম সেলিমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আবু সাঈদ।

 

চেয়ারম্যান পদ শূণ্যের ১১৮ দিন চলছে অর্থাৎ ৩ মাস ২৮ দিন চলছে। এখনও নির্বাচন হয়নি। ফের আগের পরিস্থিতিতে পরেছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ। বিগত বছর গুলোতেও মামলার যাতাকলে পরে সময় মতো হয়নি নির্বাচন। যার কারণে ফতুল্লা ইউনিয়নের উন্নয়ন নিয়ে হতাশায় এলাকাবাসী।

 

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর শূণ্যপদ পূরণ(৩৬) বিধি অনুযায়ী, যদি কেনো পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের পদ মৃত্যু, পদত্যাগ, অপসারণ বা অন্যবিধ কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ১৮০ দিন আগে শূণ্য হয় তাহলে সেই স্থানে শূণ্যতার তারিখ থেকে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে অবশিষ্ট সময়ের জন্য শূণ্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। তবে শর্ত অনুযায়ী, দৈব দুর্বিপাক জনিত কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য সুবিধাজনক তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে।

 

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূণ্য হওয়ার ৩ মাস(৯০) দিন পার হয়ে গেলেও নির্বাচনের ঘোষণা আসেনি। সংসদ নির্বাচন শেষ হয়ে ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও ইউপি নির্বাচন নিয়ে নেই কোনো নিশ্চয়তা।

 

এ বিষয়ে ফতুল্লার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন জানান, আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পরই তো জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় এরপর নির্বাচন হলো যার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনটি হয়নি। জাতীয় নির্বাচন তো শেষ এখন নির্বাচন কমিশন যখন নির্বাচন করতে বলবেন তখন নির্বাচন হবে।

 

সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিন পার হয়ে গেছে এখনও নির্বাচন হচ্ছে না এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি চাই নির্বাচন হোক যেহেতু ফতুল্লা একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন সেহেতু এখানে চেয়ারম্যান থাকাটা জরুরি। তবে সংবিধানে শর্ত অনুযায়ী, দৈব দুর্বিপাক জনিত কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য সুবিধাজনক তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের বলার অপেক্ষায় আছি।

 

নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন কি না প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবো না কারণ আমি ফতুল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে আছি। বর্তমানে আমি প্যানেল চেয়ারম্যান (১) হিসেবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বটি পেয়েছি। উপ-নির্বাচনের পর যিনি চেয়ারম্যান হবে তার হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে আমি দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিব।

 

জেলা নির্বাচন অফিসার কাজী মোঃ ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের যে নিয়ম রয়েছে নিয়মটা দেখবে কমিশন আমাদের দেখার কিছু নেই। অথোরিটি কমিশন যা করবে তাই হবে। এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর