শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

দুই দিনের ব্যবধানে শহরে অবাধে অটোরিক্সার প্রবেশ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

 

# অটো গ্যারেজ সিলগালার হুঁশিয়ারি ডিসির

 

 

পজিটিভ নারায়ণগঞ্জ গড়ে তোলার ৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম সমস্যা যানজট মুক্ত সড়ক ও ফুটপাতে হকার মুক্ত করার লক্ষে এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই গোলটেবিল বৈঠকে নারায়ণগঞ্জে যে সকল পরিবহনের অনুমোদন নেই, রুটপারমিট নেই সে গুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য একমত পোষন করেছে নাসিক মেয়র আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।

 

তারাও চান শহরের যেন কোন রুটপারমিট ছাড়া গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে। তাদের চাওয়ার সাথে নগরবাসিও একমত। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কাজের কতটুকু তা বাস্তবায়ন হয়। তার দু দিন না যেতে এই শহর হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ফিরে গেছে। সেই সাথে পুলিশের ট্রাফিক ব্যবস্থার দায়িত্বে অবহেলার কথা উঠে আসে গোল টেবিল বৈঠকে। তবে গোল টেবিল বৈঠক হওয়ার পর শহরের পরিবেশ একদিন ঠিক থাকলেও তার পরের দিন অর্থাৎ সোমবার থেকে শহরে পুরোদমে মিশুক অটো অবাধে প্রবেশ করে চলাচল করতে দেখা যায়।

 

এদিকে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের ট্রাফিকের কর্তাদের টাকার বিনিময়ে এগুলো শহরে প্রবেশ করছে। স্টিকার, চাবির রিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের ম্যানেজ করে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে কথিত গণমাধ্যমের কিছু ব্যক্তির নামও জরতি থাকার কথা উঠে আসে। তবে তারা পুলিশের কিছু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে শহরে মিশুক অটো প্রবেশ করিয়ে থাকেন। এজন্য পুলিশের উপর ক্ষোভ ঝারেন নারায়ণগঞ্জের তিন আলোচিত জনপ্রতিনিধি। ডিসি নিজেও এই মিশুক, অটো গ্যারেজ গুলোতে অভিযান চালানোর কথা জানান। আশ্চর্যের বিষয় হলো অভিযানের আগেই এই অনুমোদিত তিন চাকার পরিবহন গুলো সেই আগের মত অবাধে শহরে প্রবেশ করছে। বলা হচ্ছে পুলিশের আস্কারাতেই তারা প্রবেশ করছে।

 

অপরদিকে যানজট ইস্যুতে পরিবহন প্রসঙ্গে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, বিআরটিএ পারমিশন ছাড়া কোন গাড়ি বা পরিবহন চলা উচিৎ না। পারমিটবিহীন গাড়ি চলবে কেন। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি পারমিট বিহীন গাড়ি চলে তাহলে আপনাদের দরকার কেন। আপনারা আইনের রক্ষক হয়ে ভক্ষক হবেন কেন। আপনি বলবেন আমি পারি না। আমি বলবো আমিও পারি না, আইভী বলবে সেও পারে না। আমরা যাতে পারি তার জন্য গোল টেবিল। যারা অটো মিশুক চালক আছেন তাদের শহরে প্রবেশ করতে না দিলে তারা বিভিন্ন গলিতে চলে যাবে। আর না তারা শহর ছেড়ে সোনারগাঁ, বন্দর যেতে পারবে। কিন্তু হকারদের সেই ব্যবস্থাও নেই। তার পরেও সকলের জন্য একই নিয়ম থাকতে হবে।  

 

সাংসদ সেলিম ওসমান বলেন, প্রশাসনকে প্রশাসনের মতই চলতে হবে। প্রশাসন তাদের বাহিরে গিয়ে কে কোথায় যাবে, কে কোথায় শুবে তা দেখার বিষয় নয়। চোখের পর্দা যদি উল্টানো যায় তাহলে এ সকল আলোচনা করে কোন লাভ নেই। ট্রাফিক ব্যবস্থা পুলিশের হাতে। পুলিশ যদি তাদের দায়িত্ব পালন করতে না পারে তাহলে তাদের থাকার দরকার নেই। শহরে অটো মিশুক কারা পারমিশন দেয় তাদের তালিকা দেন। অবৈধ স্ট্যান্ডের জন্য কারা পারমিশন দেয়।

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমার মনে হয় আজ আমরা এখানে যারা বসে আছি, তারা যদি নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করি কোন সমস্যাই আর সমস্যা থাকবে না। ট্রাফিকের কাজ হলো ট্রাফিক মেইনটেইন করা। ট্রাফিক তো এ দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের, এমপিদের উপর চাপায় দিতে পারে না। আপনাদের (পুলিশের) কাছে আমরা বার বার চিঠি দেই বৈধ-অবৈধ স্ট্যান্ডের বিষয়ে।

 

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেছেন, আমাদের শীথিলতার সুযোগে প্রতিনিয়ত ভাবে নারায়ণগঞ্জে অটো প্রবেশ করছে। এজন্য আমাদের কঠোর হওয়া ছাড়া কোন সুযোগ নাই। আমি জানি অটো গ্যারেজের কোন অনুমোদন নেই। আমরা অটো ইজিবাইক গ্যারেজ গুলোকে সিলগালা করে দিব। এস.এ/জেসি 
  
 

এই বিভাগের আরো খবর