শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

বেতন পরিশোধ ও কারখানা খোলার দাবিতে ক্রোনীর শ্রমিকদের বিক্ষোভ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  


বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ক্রোনী গ্রুপের অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেডের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কারখানাটির শ্রমিকরা।  গতকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটায় কাজে যোগদান করতে কারখানাটি বন্ধ পেয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ’ শ্রমিক। এতে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

 

পরে শিল্প পুলিশের সদস্যদের হস্তক্ষেপে আগামী সোমবার বেতন পরিশোধের পর কারখানা খুলে দেওয়ার আশ্বাস পেয়ে সরে যান শ্রমিকরা। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলে এএইচ আসলাম সানির মালিকানাধীন কারখানাটির ডাইং ও নিটিংসহ বিভিন্ন সেকশনে অন্তত ৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ-৪ এর পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) সেলিম বাদশা।

 

 

এর আগে ডিসেম্বর মাসের আংশিক ও জানুয়ারি মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করেন কারখানাটির শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘বেআইনিভাবে শ্রমিক ধর্মঘট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির’ কারণ দেখিয়ে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের অভিযোগ, গত ৬ মাস যাবৎ বেতন পরিশোধ নিয়ে গড়িমসি করছে মালিকপক্ষ।

 

 

একত্রে পুরো মাসের বেতন না দিয়ে কিস্তিতে বেতন পরিশোধ করছে মালিক। কারখানাটির শ্রমিকরা গত ডিসেম্বরের আংশিক ও জানুয়ারির সম্পূর্ণ বেতন পান। বেতন না দিয়ে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করায় ক্ষুব্দ শ্রমিকরা। অবন্তী কালার টেক্স লিমিটেড কারখানায় লোড-আনলোড শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন ৩৬ বছর বয়সী আলহাজ্ব। আজ সকালে আন্দোলনরত অবস্থায় তিনি বলেন, ‘সকালে কারখানায় আইসা দেখি তালাবন্ধ।

 

 

মালিক বেতন দিতে সময় নিক। কিন্তু কারখানা বন্ধ কইরা দিলে তো আমরা পথে বইসা যামু। আমরা খাইটা খাওয়া মানুষ। আমাদের বকেয়া দিয়া কারখানা খুলে দিক, এইটাই চাই।’ কারখানাটির সুইং বিভাগের শ্রমিক লিপি বেগম বলেন, ‘গত কয়মাস ধইরাই লেনদেন ক্লিয়ার করে না। আগে মাস শুরুর ৩ তারিখের মইধ্যে বেতন দিতো। মাস শেষে বাড়িওয়ালা ঘরের সামনে বইসা থাকে।

 

 

বেতন না দিলে ঘরভাড়া দিমু কেমনে আর হাটবাজারই বা করমু কী দিয়া। গতমাসেও বেতন পাইতে আন্দোলন করতে হইছে।’ ঘটনাস্থলে থাকা শিল্প পুলিশ-৪ এর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গণেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, ‘বকেয়া বেতন পরিশোধ করে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

 

 

কারখানার মালিকের সাথে আমরা যোগাযোগ করলে তিনি আগামী সোমবার বেতন দিবেন বলে জানিয়েছেন। একথা শ্রমিকদের জানালে তারা আশ্বস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যান। এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ‘অর্ডার কমে যাওয়ার’ কথা জানিয়ে ক্রোনী গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘ক্রোনী টেক্স সোয়েটার লিমিটেড’ নামে কারখানাটি লে-অফ ঘোষণা করা হয়। প্রতিবাদে পরদিন সকালে কারখানাটির কয়েকশ শ্রমিক ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে বিক্ষোভ করেন।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর