বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ মিছিল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার



ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে ভূল তথ্য উপস্থাপন করে, ত্যাগী, যোগ্য ও সক্রিয় নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে, রাজনৈতিক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অনুগত অযোগ্য ও আওয়ামীলীগ পন্থীদের নিয়ে জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণকে কেন্দ্র করে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপুর পকেট কমিটির বিরুদ্ধে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দরা।  

 

 

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া চত্বর, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, শহীদ মিনার প্রাঙ্গন, লিং রোড ও সাইনবোর্ড এলাকায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এসময় পুলিশের বাধায় পরে ৪টি স্পটে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।

 

 

নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, যারা রাজপথে মামলা হামলা শিকার হয়েছে সেই ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বর্তমান জেলা ছাত্রদলের অযোগ্যদের পদায়ন করে কমিটি হয়েছে। আমাদের অভিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই কমিটি হয়েছে।

 

 

আজকে রাজপথের ত্যাগী ও পদবঞ্চিতরা নারায়ণগঞ্জ ৪টি স্পটে পুলিশের বাধায় পড়ে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজকে যাকে জেলা ছাত্রদলে কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে কয়টা মামলা রয়েছে আপনারা খবর নিয়ে দেখেন।

 

 

আমার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৫৩ টি মামলা রয়েছে এবং ৭ বার জেলও খেটেছি, রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি আমি। এর মধ্য কে জেলা কমিটিতে যোগ্য তা আমার সংবাদমাধ্যম ভাইয়েরা তদন্ত করে দেখেন।

 

 

তিনি আরোও বলেন, আমারা আহবান করবো বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক ভবিষ্যতে দেশের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান মহোদয় আপনি নিজে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তদারকি করে খবর নিবেন। এবং রাজপথের পরীক্ষিত বঞ্চিত নেতাকর্মীদের কমিটিতে স্থান দেওয়া এবং আওয়ামীলীগ পন্থী যারা তাদের প্রতি খোঁজ-খবর নিয়ে কমিটিকে পুনরূদ্ধার করে আসল নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ন করবেন আমরা সেই আহবান জানাই।  

 

 

রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেছেন, আমি ২০০৮ থেকে ১২ ও ১৪ সালে রাজনীতি করতে গিয়ে জেল খেটেছি। বর্তমানে আমার ৪টা ওয়ারেন্ট রয়েছে। কিছুদিন আগে আমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার বাবা, মাকে পা ভেঙ্গে দেয় এবং বিভিন্ন সময় আমি নির্যাতিত হই।

 

 

কেন্দ্র থেকে নির্দেশ ছিল আমাকে জেলা কমিটিতে সভাপতি বা সেক্রেটারী পদ যেন দেওয়া হয়। যেখানে আমি সভাপতি বা সেক্রটারী পদে থাকার কথা সেখানে আমার নামই নেই। যারা এ কমিটিতে পদ-পদবী পেয়েছে তারা দলের জন্য কি করেছে? আমিতো রাজনীতিতে এসে দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, জেল খেটেছি, আমার বাড়ি ঘর জ্বালিয়েছে।

 

 

তিনি আরোও বলেন, আমি কেন্দ্রে যোগাযোগ করলে তারা বলেছেন আমাদের কোন হাত ছিল না। যারা কমিটি পেয়েছে তারা দলের জন্য কি করেছে। তারা আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে চলেছে। এবং তাদের নিজ এলাকায় নিজস্ব কোন কর্মী নেই। দলের জন্য কোন অগ্রহণী ভূমিকা পালন করেন নাই।

 

 

একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা কমিটি ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা দলের ক্লান্তি লগ্নে যে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি তা চলমান থাকবে। এবং আওয়ামীলীগ পন্থী পকেট কমিটিকে ভেঙে পুনরায় কমিটি করার আহবান জানাচ্ছি। তা না হলে আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চলমান থাকবে। এন.এইচ/জেসি