শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪   শ্রাবণ ১২ ১৪৩১   ২০ মুহররম ১৪৪৬

নাটকীয়তার অবসানে বিলম্ব, প্রার্থীরাও চরমভাবে হতাশ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রোববার

 


১৩ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময়। বাকি মাত্র ২ দিন। অথচ এখনো শামীম ওসমান  সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। এ নিয়ে নানামুখী গুঞ্জন চলছে ফতুল্লা তথা গোটা নারায়ণগঞ্জে।

 

 

যেখান চেয়ারম্যান প্রার্থীরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছে  শামীম ওসমানের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তারা শামীম ওসমানের সমর্থিত প্রার্থীর হয়ে কাজ করবেন সেখানে দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার পরও কেনো নেওয়া যায়নি এ সিদ্ধান্ত এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। নেতীবাচক মন্তব্যসহ প্রশ্ন তুলছে এ প্রক্রিয়া নিয়ে।

 


তথ্যমতে, এবারের ফতুল্লা ইউপির উপ নির্বাচনে সম্ভাব্য হেভীওয়েট  প্রার্থীরা হলেন, ফতুল্লা থানা আ’লীগের ১ নং সদস্য শরিফুল হক, ফতুল্লা থানা আওয়ামী যুবলীগ নেতা আজমত আলী, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম ও ফতুল্লা থানা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন, প্রয়াত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন এর স্ত্রী সেলিনা সুলতানা।

 


তবে ইতিমধ্যো মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মীর সোহেল আলী, ফাইজুল ইসলাম,  সেলিনা সুলতানা, মুজিবুর রহমান। তবে শামীম ওসমানের সিদ্বান্তের অপেক্ষায় এখনো মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি শরিফুল হক, আজমত আলী ও ফরিদ আহম্মেদ লিটন। তবে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার জন্য সময় আছে আর মাত্র ২ দিন। ফলে মনোনয়ন সংগ্রহ না প্রার্থীরা আছেন চরম বিপাকে।

 

 

অন্যদিকে, দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার পরও কেনো এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছেনা এ নিয়ে উদ্বেগ কাজ করছে প্রার্থী এবং ইউনিয়নবাসীর মধ্যেও।  কেননা, মনোনয়ন কিনলেও জমা দেওয়ার পূর্বে আনুষঙ্গিক কিছু কাগজপত্র সংগ্রহের  কাজ থাকে। সে কাজগুলো সর্ম্পূন করতে হয়। তবে সূত্র মতে, আর কোনো কালক্ষেপন নয়। আজই আসছে চুড়ান্ত সিদ্বান্ত। তবে চমক থাকছে সিদ্ধান্তে।

 

 

কেউ কেউ বলছে শামীম ওসমান আজমতে আস্থা রাখতে যাচ্ছেন। আবার কারো মতে বরাবরের মতো হয়তো শরিফুল হকের উপর তিনি আস্থা রাখতে যাচ্ছেন। তবে অনেকে বলছে মীর সোহেল এর উপর আস্থা রাখবে শামীম ওসমান। তবে আলোচনায় পিছিয়ে নেই সেলিনা সুলতানা ও ফাইজুল ইসলাম। তবে শেষ পর্যন্ত কে পাচ্ছেন শামীম ওসমান এর সমর্থন সে উত্তরের অপেক্ষায় গোটা ইউনিয়নবাসী।

 

 

তবে এ নির্বাচনে যে ইলেকশন না হয়ে সিলেকশন হবে তা আচঁ করতে পারছে সবাই। কারন শামীম ওসমানের সমর্থন যে পাবে সেই হবে এ ইউপির চেয়ারম্যান তা একপ্রকার নিশ্চিতই। তবে এবারের নির্বাচন হবে না দলীয় প্রতিকে। শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছেন উন্মুক্ত নির্বাচন হবে যে প্রার্থী জনপ্রিয় সে জয়ী হয়ে আসবে। তবে এখানে সেই সুযোগ থাকা সত্তেও শামীম ওসমান সমর্থীত প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ নির্বাচন করবেনা।

 


এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল বলেন, যদি উন্মুক্ত নির্বাচন হয় আমি নির্বাচন করবো কিন্তু শামীম ওসমান যদি নির্দিষ্টভাবে কাউকে সমর্থন দেয় তবে নির্বাচন করবো না।

 


এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা আজমত আলী বলেন, আমি কোনো পদ পদবী ছাড়াই মানুষের সেবা দিয়ে আসছি। তবে এ সেবাটা আরোও ব্যাপকভাবে দেওয়ার জন্য একটা প্লাটফর্ম দরকার হয় সেটা জদি চেয়ারম্যান হিসেবে করতে পারি তবে মানুষকে সেবা দিতে পারবো ব্যাপকভাবে। কিন্তু শামীম ওসমান জদি অন্য কাউকে বিবেচনায় আনে তবে আমি তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাবো না। বরং শামীম ওসমান যাকে সমর্থন দিবে তার হয়েই কাজ করবো।

 


এ ব্যাপারে শরীফুল হক বলেন, সবসময় শামীম ওসমানের পক্ষে কাজ করেছি। কখনো তার বিরুদ্ধে যাইনি। এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটবেনা। তিনি যা সিদ্ধান্ত দিবেন শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করবো।

 


সেলিনা সুলতানা বলেন, আমার স্বামীর চেয়ারম্যান এর মেয়াদ প্রায় ৩ বছর বাকি রয়েছে। আমি চাই তার বাকি সময়টা আমি চেয়ারম্যান হিসেবে তার অসম্পূর্ন কাজ সম্পূর্ন করি। তবে শামীম ওসমান যা সিদ্ধান্ত দিবেন মেনে নিবো। এখন দেখার বিষয় কি চমক দেখায় শামীম সমান।   এন. হুসেইন রনী  /জেসি