মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

এবার গার্মেন্টসকর্মীদের কুপিয়ে জখম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ মে ২০২৪  

 

 

 আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিরা ও বড় রাজু বাহিনী। এবার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিন গার্মেন্টসকর্মীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানার চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে দেওভোগ নূর মসজিদ এলাকার রহিম মিয়ার পুত্র ও ভুক্তভোগী রাসেল।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে অভিযোগের বাদি রাসেল ও তার দুই বন্ধু রাশেদ (২২) ও ইব্রাহীমকে (২২) পেয়ে ফতুল্লার কাশিপুরস্থ দেওয়ার বাড়ী ব্রিজের সামনের রাস্তায় পরিকল্পিতভাবে ছুরি, চাকু, চাপাতি, লোহার পাইপ, লোহার রড ও কাঠের ডাসা সহ বিভিন্ন লাঠিসোঠা নিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে তাদের মারধর করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ১নং বিবাদী মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র আহম্মেদ রাজু ওরফে বড় রাজু, ২নং বিবাদী এবাদল হক মিয়ার পুত্র সজল (২৪), ৩নং বিবাদী সফর মাঝির পুত্র হিরা ও ৪নং বিবাদী তামিম

 

৫নং বিবাদী হৃদয়, ৬নং বিবাদী আরিফ, ৭নং বিবাদী রাব্বী, ৮নং বিবাদী রাজু ওরফে পিচ্চি রাজুসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বিবাদীরা বাদি রাসেল ও তার দুই বন্ধুর পথরোধ করে এক দোকানে পেছনে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ী কোপাতে ও মারধর করতে থাকে। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় অভিযোগে অভিযুক্তরা।

 

এ বিষয়ে অভিযোগের বাদি মো. রাসেল বলেন, ১নং বিবাদী রাজুর দোকানের পেছনে আমি সহ আমার দুই বন্ধুকে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ী মারধর করতে থাকে। ১নং বিবাদী রাজুর নির্দেশে উল্লেখিত ৪নং বিবাদী তামিম তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বজোরে আমার পেটে পোচ মেরে গুরুত্বর কাটা জখম করে। এরপর ৫নং বিবাদী তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে পোচ মেরে আমার পিঠে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে সেই ৫নং বিবাদীই আবার আমার প্যান্টের ডান পকেটে থাকা নগদ ৬ হাজার ৭০০ টাকা এবং আমার ব্যবহৃত ইনফিনিক্স মোবাইল (বর্তমান মূল্য ১৯ হাজার টাকা) নিয়ে যায়।


তিনি আরও বলেন, এছাড়াও আমার বন্ধু ইব্রাহীমের পকেটে থাকা নগদ ৪ হাজার ৭০০ টাকা ৮নং বিবাদী পিচ্চি রাজু নিয়ে যায়। একই সাথে ২নং বিবাদী সজল আমার আরেক বন্ধু রাশেদের পকেটে থাকা নগদ ৩ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং দোষীদের বিচার দাবি করছি।


এ বিষয়ে অভিযোগের ১নং বিবাদী আহম্মেদ রাজু ওরফে বড় রাজুকে মুঠোফোন করা হলে যুগের চিন্তাকে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনার বিষয়ে আমার জানা নেই। রাসেল নামের কাউকেই আমি চিনি না!


এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. নবাব আলী যুগের চিন্তাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি এখনো কিছুই জানি না!


প্রসঙ্গত, ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন হীরা, আহমেদ হোসেন রাজু ওরফে বড় রাজু ও তাদের বিশাল কিশোরগ্যাং বাহিনীর অপকর্ম দিনকে দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই এলাকায় কেউ ভবন নির্মাণ করতে চাইলে হীরা ও বড় রাজুর কাছ থেকে ইট-বালু-সিমেন্ট নিতে হয়। অন্যথায়, তাদের বাড়ি ঘরে সাল্লু ও তার লালিত কিশোরগ্যাং সদস্যদের নিয়ে সশস্ত্র হামলা করানো হয়।

 

এছাড়াও ঐ এলাকায় কেউ বাড়ি-ঘর নির্মাণ করতে চাইলে মালিকদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে হীরা-রাজু ও তার বাহিনী। মোদ্দাকথায়, এলাকার মানুষ এদের অত্যাচারে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। এতোকিছুর পরেও রহস্যজনক কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হীরা, বড় রাজু, সাল্লু ও তাদের পালিত কিশোরগ্যাংদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।

 

এই বিভাগের আরো খবর