বুধবার   ২২ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৮ ১৪৩১

গরমে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রসালো ফলের চাহিদা ও দাম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৪  


চলতি মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরমে পুরছে সারা দেশ। গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপদাহের কারণে বাইরে বের হওয়াই এখন মুশকিল। বিশেষ করে বেশি বিপাকে পরছেন খেটে খাওয়া নিম্ন-মধ্যআয়ের মানুষ। এর ফাকে টানা তাপপ্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে ডাব, তরমুজ ও আখসহ দেশি রসালো ফলের চাহিদা ও দামও।

 

 

তাই শরীরে পানির চাহিদা পূরণে দাম বাড়লেও একটু প্রশান্তি ও তৃপ্তির আশায় কিনছেন ক্রেতারা। চাহিদা বাড়ায় সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের।

 


পাইকারি ও খুচরা ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারবেদে পাইকারিতে প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। ফলের মুল্যবৃদ্ধির তালিকায় আপেল ও মাল্টার  দামও বেড়েছে। আপেল ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৮০টাকা করে এবং মালতা ২৫০ টাকা। তরমুজ আকারবেদে ছোট-বড় বিক্রি হচ্ছে ১০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত।

 

 

বিক্রেতারা বলেন, তীব্র গরমের কারনে চাহিদা যেমন বাড়ছে তেমন দামও বাড়বে স্বাভাবিক। চাহিদা কমতে শুরু করলে দামও কমবে। তবে তরমুজের মৌসুম শেষের দিকে হলেও বাজারে সরবরাহ কম তাই দাম একটু বেশি। শুধু ডাবের ঠান্ডা পানীয়ও না চাহিদা ও দাম বাড়ছে বিভিন্ন শরবতের। প্রতিটি খাবার পানীয় ও শরবতের দাম নিয়েও ক্রেতাদের মধ্যে অভিযোগ শোনা যায়।

 

 

রিকশাচালক রন্দ্র দাস তার বাচ্চাদের জন্য ডাব কিনতে ফলের আরতে এসেছেন, যদিও বিনিময়ে তাকে গুনতে হচ্ছে চড়া দাম। তিনি বলেন, অনেকদিন পর আসা হলো ফলের বাজারে। বাচ্চারা অনেক বায়না ধরেছে গরমে ডাব খাবে, তাই এখানে আসা। তবে যে হারে দাম বাড়ছে তাতে ডাব কিনে খাওয়া কষ্টসাধ্য। এতে কষ্টের সঙ্গে ফাঁকা  হচ্ছে পকেটও।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর