রোববার   ১৯ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় সুলতানা বেগমকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আবু তালেব সহ ৬/৭ জন শ্রেষ্ট শিক্ষক নির্বাচিত কমিটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যে মাসদাইর বেগর রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা বেগম রত্নাকে শ্রেষ্ট শিক্ষক নির্বাচিত করায় স্কুল কমিটি সভাপতি ও সকল শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

 


রবিবার (৫ মে) বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে শ্রেষ্ট নির্বাচিত করায় পথচারী ও ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শীতল শরবত বিতরণ করা হয় এবং স্কুল প্রাঙ্গণে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, সভাপতি বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়।

 


প্রধান শিক্ষক সুলতানা বেগম রত্না বলেন, আমি যে অর্জন করেছি তা শুধু আপনাদের জন্য তাই সকলে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমরা চাই আমাদের এ অজন আমরাই ধরে রাখবো আগামীতে আরো ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে নিয়ে। আমার এ অজন স্কুলের নাম অনেক উজ্জ্বল করেছে।

 

 

আমরা চাই আগামীতে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী ক্যাটাগরিতে আমরা লড়বো যাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারি। তার জন্য তোমাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে ক্লাস ঠিক মত করতে হবে। আমি তোমাদের শ্রেনী শিক্ষকদের কাছে জানিয়ে দিবো তোমরা কি ভাবে কি করবে।

 


এসময় বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন লাভলু বলেন, আজকে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক যে অজন করেছে সেটা আমাদের সকলের কাছে খুব আনন্দ গৌরবের একটি বিষয়। আপনাদের সকলের সহযোগিতা ছিল বলেই তিনি আজকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তাই সকলকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 


এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাজ্জেম হোসেন সহকারী প্রধান শিক্ষক বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, মোঃ আসিফ আহাম্মেত সুমন ও মোঃ দেলোয়াল হোসেন শিক্ষক প্রতিনিধি বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

 


প্রসঙ্গগত, বেগম রোকেয়া খন্দকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তার পরে দীর্ঘদিন পার হলে সুলতানা বেগম রত্না ২০১৫ সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। অবকাঠামো ও শিক্ষার মানে পিছিয়ে থাকা এই প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনার ছক ও তা বাস্তবায়নে নিজের মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগাতে শুরু করেন।

 

 

যেখানে মাত্র ১০ টি শ্রেণি কক্ষ ছিল সেখানে বর্তমানে ১৮ টি সুসজ্জিত শ্রেণি কক্ষ, পর্যাপ্ত ওয়াস ব্লক, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার, নামাজের কক্ষ, ছাদ বাগান ও শহীদ মিনার নির্মাণ সহ অবকাঠামোর ব্যপক উন্নয়ন করেন। ২০১৫ সালে এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ৪ জন্য যা বর্তমানে ১৬ জনে উন্নীত হয়েছে, যা ওনার দক্ষতারই অংশ।

 


বিদ্যালয় টিকে উন্নীত করেছেন নিম্ন মাধ্যমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে। একটি প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জনের প্রধান সূচক হলো ফলাফল। এসএস সি পরীক্ষার ফলাফল বর্তমানে ৯৪%। রয়েছে অ+ এবং বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষক জনাব সুলতানা বেগম রত্নার সার্বিক তত্ত্বাবধানে লেখাপড়ার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

 

 

এক ঝাঁক মেধাবী, প্রশিক্ষিত শিক্ষক মন্ডলীদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয় টিকে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এরই ফলশ্রুতিতে ২০২৪ সালের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানের সম্মানে ভূষিত হন সুলতানা বেগম রত্না। এন. হুসেইন রনী   /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর