রোববার   ১৯ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

১০ টাকায় রুটি হালুয়ায় নিম্নবিত্তের নাস্তা

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২৪  


মাত্র ১০ টাকায় ছেড়া রুটি আর হালুয়া দিয়ে  নাস্তা করছেন নিম্নআয়ের লোকজনসহ ক্ষূদে ব্যবসায়ীরা। বাজারের অন্য দোকানে যেখানে এক রুটির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা।  সেখানে হালুয়াসহ পেটপুরে খেতে পেরে খুশি পথচারী, রিক্সাচালকসহ সাধারণ লোকজন। এমন চিত্র নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাবিবনগর ভক্তবাড়ি মধুখালী এলাকায়।  

 


ভাসমান রুটি হালুয়া বিক্রেতা কিশোর খলিলের দৈনিক আয় ৫শ থেকে দেড় হাজার টাকা।  মাত্র ১০ টাকায় সুস্বাদু  রুটি হালুয়া বিক্রি করে তাদের ৩ ভাইয়ের সংসার চলে। এ রুটির নাম ছেড়া রুটি। তবে অঞ্চল ভেদে এর নামও ভিন্ন। কোথাও হালুয়া রুটি,কোথাও ছেড়াফাঁড়া। তবে রুটি হালুয়া কমদামে পেটপুরে খেতে পেরে খুশি ক্রেতা সাধারণ।

 

 

মধুখালীর বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, বাজারের সব দোকানে একেকটা আটার রুটির দাম কমপক্ষে ২০ টাকা। ভাঁজি, ডাল ডিম মিলে ৭০ টাকার নাস্তায়ও পেটপুরে খাওয়া যায় না। আর ভাসমান এ রুটি বিক্রেতা হালুয়া দিয়ে ১০ টাকায় যে পরিমাণ খাবার দেয়, তা দিয়ে সকালের নাস্তা হয়ে যায়। তবে যারা একটু বেশি খান তারা ২০ টাকার নিয়ে থাকেন।

 


ভক্তবাড়ি বাজার এলাকার ঔষধ বিক্রেতা তাহছিন আহমেদ বলেন, প্রতিদিন সকালে খলিল তার ঠেলাগাড়ী দিয়ে এ বাজার এলাকার রুটি বিক্রি করতে আসে। খুবই সুস্বাদু।  তাই মাঝে মাঝে কিনে খাই। ১০ টাকার রুটি আর হালুয়াতেই পেট ভরে যায়।

 


একই বাজারের অপর ব্যবসায়ী মোতালিব মিয়া বলেন, আমাদের বাসা থেকে খাবার আনতে অনেক সময় দেরী হয়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে খলিলের ভাসমান রুটি  কিনে খাই। তবে এ রুটি নিন্ম আয়ের লোকজন বেশি কিনে। তারা সকালে শুধু নাস্তার জন্যে বাজারে চলে আসে।

 


এসব বিষয়ে কথা হলে রুটি বিক্রেতা কিশোর খলিল বলেন, আমরা ৩ ভাই মধ্যরাত থেকে রুটি তৈরীর  কাজ করি। ফজরের আজান দিলে তেলে ভাজা রুটি আর আগের রাতেই তৈরী করা হালুয়াসহ একটি বিশেষ ঠেলাগাড়ী নিয়ে আমরা ৩ ভাই ৩ দিকে নেমে ছুটে চলি বিক্রির উদ্দেশ্যে।

 

 

একেকজন ৩ থেকে ৫ গ্রাম ও আশপাশের হাটবাজারে ছুটে  দিনে প্রতিজন ৫শ থেকে ১৫০০ টাকা আয় করে বাসায় ফিরি।। সকাল ১১ পর্যন্ত বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়। এ সময় তিনি আরও বলেন,  নিন্মআয়ের লোকজনছাড়াও পথচারী,গাড়ী চালক, ব্যবসায়ীদের পছন্দের খাবার  এটি। কেউ ১০ টাকার, কেউ ২০ টাকার রুটি হালুয়া খেতে সকালের নাস্তা গ্রহণ করেন।

 


 সচেতন মহলের দাবী,  বাজারের সব পণ্যের দাম যখন আকাশ ছোঁয়া,তখন একবেলা নাস্তা যদি মাত্র ১০ টাকায় পাওয়া যায় তা যেন নিন্ম আয়ের লোকজনের আশার আলো। তাই অনেকেই পথ চেয়ে থাকেন ভাসমান এ রুটি বিক্রেতার ঠেলাগাড়ীর দিকে। তবে এ রুটি কমদামে বিক্রির রহস্য এখনো খুঁজে পাননি কেউ।     এন. হুসেইন রনী   /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর