রোববার   ১৯ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

না.গঞ্জে যানবাহনে বেড়েছে স্টিকারের অবৈধ ব্যবহার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে প্রেস, পুলিশ, আইনজীবী ও মানবধিকার সংস্থ্যার নামে যানবাহনে অবৈধ স্টিকারের ব্যবহার। এরআগে ব্যাটারী চালিত যানে স্টিকার বানিজ্যের বিষয়টি বেশ সমালোচিত হলেও এখন তা অন্যান্য যানের ক্ষেত্রেও দিব্বি চালিয়ে বেড়াচ্ছে কথিত এবং নামধারীরা। শুধু তাই নয়, অনেকেই আবার যানবাহনে স্টিকার লাগিয়ে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে নানা অপরাধ কর্মকান্ড।

 


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এখনো নগর সংবাদ নামে একটি স্টিকার ব্যাটারী চালিত যানে ব্যবহার হচ্ছে। তবে এ নামে বাজারে কোনো পত্রিকা প্রকাশ হতে দেখা যায় না। তাছাড়া মোটরসাইকেলে সাঁটানো প্রেস লেখা এখন অহরহ চোখে পড়ে।

 

 

কিন্তু এসব মোটরসাইকেল চালকদের কতজন আসলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট? কোনো কোনো মোটরসাইকেলে থাকে একাধিক প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্টিকার। অথচ এগুলো কোনোটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই চালকের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রশ্ন করলে দেওয়া হয় খোঁড়া অজুহাত।

 


একইসাথে সিএনজি অটোরিক্সা, প্রাইভেট কার, নোহা, হাইস, পিকাপ ভ্যান ইত্যাদি গাড়িতে প্রেস আর মানবধিকার সংস্থ্যা, নামে- বেনামের সংগঠন, পুলিশ ইত্যাদি স্টিকার লাগিয়ে নানাভাবে কয়েকটি চক্র অপকর্ম করছে। যাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে মামা-চাচা'র বলে জানায়।

 

 

আবার কেউ কেউ টাকা দিয়ে মাসিক চুক্তিতে এই প্রেসকার্ড ব্যবহার করছে কিংবা ফ্রি ব্লক সাইড খোলে ডট কমের সম্পাদক পরিচয় দিচ্ছে। অথচ সংবাদপত্রের 'স' এর সাথে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। তারা আড়ালে বরং মাদক কারবারিও করে এমন অভিযোগও উঠেছে।

 

 

তাছাড়া আইনজীবী নয়, আইনজীবীদের সহকারী, মোহরীরাও ব্যবহার করছে আইনজীবী স্টিকার, আবার দেখা গেছে দায়রা জজ আদালত নাম সম্বলিত এমন ডিজিটাল প্লেট! এসব বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দিলে এবং কার্যকরি পদক্ষেপ নিলে হয়তো সামজ প্রতারক থেকে রক্ষা পেতো, অপরাধী চিহ্নিত করা সহজ হতো আর পেশাদারদের সম্মান রক্ষা পেতো বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক ও বোদ্ধামহল।

 


এদিকে গেল বুধবার নারায়ণগঞ্জের নিকটেই ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগ। ওইসময় দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নামে অবৈধভাবে স্টিকার ব্যবহার করছেন অনেকে।

 

 

প্রায় অর্ধশত যানবাহন সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়। আটক করা একজনকে। দেখা গেছে, সেনা কল্যাণ সংস্থায় তেল সরবরাহ করেন দাবি করে এক চালক দিব্যি সংস্থার স্টিকার ব্যবহার করছেন। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজপথ।

 


এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ শেখ আব্দুল করিম জানান, এ বিষয়টি আমরা দেখবো। বিভিন্নসময় আমাদের চেকপোস্টে এমন অবৈধ স্টিকারের ব্যবহারকারী পেলে ব্যবস্থা নিবো। তাছাড়া খুব শিঘ্রই অবৈধ স্টিকার ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান দেয়া হবে।  এন. হুসেইন রনী  /জেসি