বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

আজাদ বিশ্বাসেরও অনীহা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪  

 

# আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়, উপজেলায় খুব কম যাই : আজাদ বিশ্বাস

 

সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত হয়েছে এ কথা ইতিমধ্যে সবাই জানে। দীর্ঘ পনেরো বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষনায় যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো উপজেলা জুড়ে তা এখন নিভু নিভু। তবে নির্বাচন স্থগিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এ উপজেলাবাসীর। কেননা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস উপজেলাবাসীর জন্য আশিবার্দস্বরূপ কোনো উন্নয়নমূলক কিছু করেছেন এমন কিছু খুঁজে পাওয়া প্রায় বিরল।

 

অর্থাৎ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। তবে তার দায়িত্বকালীন মেয়াদ শেষ হলেও সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় নির্বাচন বন্ধ ছিলো দুই দফা। অর্থাৎ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পর আর নির্বাচন হয়নি এ উপজেলায়। আর এর নেপথ্যে নায়ক হিসেবে উপজেলাবাসীকে আজাদ বিশ্বাসকেই দায়ী করে আসছেন।

 

কেননা, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা যারা সৃষ্টি করেছেন তারা হলেন ফতুল্লা চৌধুরীবাড়ির মো. আসাদউদ্দিন চৌধুরী, পশ্চিম মাসদাইরের ছেলে বজলুর রহমান ও কাশিপুরের মো. হামিম মুন্সী। এই তিনজনই আজাদ বিশ্বাসের ঘনিষ্টজন হিসেবেই পরিচিত। উপজেলাবাসী বলছে আজাদ বিশ্বাস তার লোকজন দিয়ে এ জটিলতা সৃষ্টি করেছে এর ফলশ্রুতিতে আটকে যায় উপজেলা নির্বাচন। এই সুযোগে টানা পনেরো বছর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আজাদ বিশ্বাস।

 

উন্নয়নবঞ্চিত হয়েছে এ উপজেলার মানুষ। তবে দীর্ঘসময় পর এ উপজেলায় তফসিল ঘোষনায় প্রাণ ফিরে পেয়েছিলো এ উপজেলা। কিন্তু আবারো সেই পুরোনো খেলা। এর ফলে এই উপজেলায় আবারো নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে ২২ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করা হলেও ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে আসেনি কোনো সিদ্বান্ত।

 

এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানে না নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অর্থাৎ নির্বাচনের ঘোষনায় যে একটা সাজ সাজ রব বিরাজ করেছিলো এ উপজেলায় সেই উত্তেজনা এখন মৃতপ্রায়। তবে নির্বাচন না হলেও বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস উপজেলায় আসছেন না। করছেন না উপজেলাবাসীর নূন্যতম সেবা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চেয়ারম্যান ছাড়াই চলছে সদর উপজেলা পরিষদ।

 

এ ব্যাপারে আজাদ বিশ্বাস এর সাথে কথা বললে তিনি যুগের চিন্তাকে বলেন, আমি রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়। উপজেলায় খুব কম যাই। তার বক্তব্য সদর উপজেলা নিয়ে তার অনীহার বহিঃপ্রকাশ বলছেন উপজেলাবাসী। তারা বলছে এমতাবস্থায় সদর উপজেলাবাসী অভিবাবকহীন। এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর