বুধবার   ১৫ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

ময়লা ফেলার উন্মুক্ত ডাস্টবিন বাবুরাইল খাল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৪  


নারায়ণগঞ্জের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ হতে তৈরি শেখ রাসেল পার্কের খাল এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। গৃহস্থালি ও ফাস্টফুড দোকানে ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। ২০২২ সালে সিটি কর্পোরেশন খালটির সৌন্দর্য বর্ধন ও উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে ঘোষণা করা হয়।

 

 

তবে বছর না ঘুরতে যেন ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে খালটি। সেইসাথে দুর্গন্ধে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ পাশাপাশি মশারও প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

 


গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এতো এতো টাকা ব্যয় করা বাবুরাইল খালটির অধিকাংশই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পুরো বাবুরাইল ব্রিজ থেকে বাংলাবাজার শেষ সীমানা অধিকাংশ এলাকা  পযর্ন্ত খালটিতে আবর্জনার স্তূপ জমে গেছে।

 

 

স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ কেউ ব্যবহার করছে ময়লা ফেলার স্থান হিসেবে। প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাগ, গ্লাস ও থালা, কর্কশিট, কলাপাতা, বস্তা ও পলিথিন ব্যাগ, ফাস্টফুডের ময়লা, গৃহস্থালির ময়লা- কী নেই সেখানে। ময়লা-আবর্জনার মধ্যে ওড়াওড়ি করছে মশা-মাছি।

 


স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাশীপুরের বাংলাবাজার অংশে খালের উপর ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন ফেলে রাখা হয়েছে। পানিতে দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। সেইসাথে মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে খালটি। খালের মন্ডলপাড়া অংশ কিছুটা স্বচ্ছ থাকলেও বাকী অংশ প্রায় পুরোটাই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়।

 


নাম প্রকাশ না করার শর্তে রত্না নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খালটির আশে পাশে যে লোকজন বসবাস করে তারা সরাসরি খালটিতে ময়লা ফেলছে। তারা কোনো বিধিনিষেধই মানছে না। তা ছাড়া আশপাশে ডাস্টবিন নেই, আবার মানুষও ভালো না তারা দু টাকা নষ্ট করে যে সিটি কর্পোরেশনের লোক রাখবে মংয়লা নেওয়ার জন্য তা ও করে না।  

 


ঐ এলাকার ব্যবসায়ী তুহিন মিয়া বলেন, খালে দুপাশে দাড়িয়ে ছেলেরা আড্ডা দেয়। আবার  লেক করার কানো দুপাশে গড়ে ওঠেছে ফাস্টফুড সেই ফাস্টফুডের দোকানের ময়লা তারা খালেই ফেলে। আবার রাস্তারও পাশেও ফালায় রাখে।

 

 

বাবুরাইল ব্রিজের একটু সামনেই দেখা যায় সড়কের ফুটপাতে পাশেই একটা মাঠের পাশে স্থানীয় লোকরা  বা ঐ ফাস্টফুডের দোকানদাররা ময়লা ফেলে এই খানে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও কিছু ময়লা-আবর্জনা খালটিতে ফেলা হচ্ছে।

 


এ বিষয়ে কাশীপুর ইউনিয়নের (ঐ এলাকার) ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জিসান হায়দার উজ্জ্বল ও মো. আইয়ুব আলী যুগের চিন্তাকে বলেন, এই খালের দায়িত্ব আমাদের না। এটা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে পরেছে। এটা আমাদের ওয়ার্ডের মধ্যে পরেছে সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের এলাকার লোকদের সর্তক করতে পারি কিন্তু তারা যদি সতর্ক না হয় আমরা কি করবো বলেন।

 

 

এলাকার লোকদের বললে তারা বলে যে আমরা কেউ ফালাই না কিন্তু রাতের বেলা দেখা যায় তারাই পলিথিনের মধ্যে বিল্ডিংয়ের উপর থেকে ঢিল মেরে নিচে ফেলে। আমাদের সামনে ফালায় প্রায় সময়। কিন্তু তখন জিজ্ঞাসা করলে অস্বীকার করে।

 


একই  বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ জাকির হোসেন যুগের চিন্তাকে বলেন, এই বিষয়টি আমি অবগত না । কালকে এ বিষয়টি জেনে আমি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।      এন. হুসেইন রনী  /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর